বাণিজ্য

বন্দরে টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চায় এফবিসিসিআই

দেশের সব স্থল, সমুদ্র বন্দর এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাদ্যপণ্যের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব স্থল, সমুদ্র বন্দর এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খাদ্যপণ্যের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে জাইকার সহযোগিতা চেয়েছে এফবিসিসিআই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

তিনি বলেন, 'ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থলবন্দরে স্বীকৃত মানের ল্যাব সুবিধা থাকলে ওইসব রাজ্যে দেশের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি সহজ হবে।'

এ ছাড়া, বিমান ও সমুদ্র বন্দরে ল্যাব সুবিধা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও কৃষিপণ্যের বিশাল বিশ্ব বাজার ধরতে পারবে বাংলাদেশ। তাই এ সংক্রান্ত প্রকল্প গ্রহণ করে দেশের বন্দরগুলোতে বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান বাবু।

সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, 'সংরক্ষণ ও সাপ্লাই চেইন দুর্বলতার কারণে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয় পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা না থাকায় কৃষকরাও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।'

উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতের নেওয়ার জন্য জাইকা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান হেলালী।

বৈঠকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জাইকা ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ যৌথ কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। ২ প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে দেশে একটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য একটি ঋণ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম।

জাইকার প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি তেরুয়াকি ফুজি বলেন, 'বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিরাপদ খাবারের যোগান নিশ্চিত করা জরুরি।'

জাইকার আগামী প্রকল্পটি এদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তেরুয়ারি ফুজি।

এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক দেশে বেসরকারি টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের লক্ষ্যে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জাইকাকে আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

16h ago