অপরাধ ও বিচার

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: গ্রেপ্তার ৪ আসামি রিমান্ডে

প্রত্যেকের ৪ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
নিহত আব্দুল্লাহ আল নোমান ও রাকিব ইমাম। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমা তাদের ৪ দিনের করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

বেলায়েত হোসেন বলেন, 'আমরা আসামিদের ৭ দিনের করে রিমান্ডের আবেদন করেছি। আদালত ৪ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।'

ওই ৪ আসামি হলেন—ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, মো. সবুজ, মনির হোসেন রুবেল ও আজিজুল ইসলাম বাবলু।

তাদের মধ্যে ইসমাইল বশিকপুর গ্রামের সেলিম পাটওয়ারীর ছেলে, সবুজ নন্দীগ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে, বাবলু একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে ও রুবেল দত্তপাড়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ এপ্রিল রাত ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ  ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর ২৭ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ ও র‍্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ওই ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে পুলিশ ৩ জনকে ও র‌্যাব ১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট সড়কে যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইলও নিয়ে যাওয়া হয়। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তারা মারা যান। ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পরে স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অস্ত্র হাতে ৮ জন যুবককে হাঁটতে দেখা যায়।

নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আর রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা, একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

লক্ষ্মীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা আজ বিকেলে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জোড়া এই খুনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।'

'মামলার প্রধানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। শিগগিরই বাকিদেরও গ্রেপ্তার করতে পারব বলে আমি আশাবাদী', বলেন তিনি।

Comments