আসামির স্ত্রীর মাথায় পিস্তল তাক: ডিবিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

অভিযান পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি পুলিশের এসআই রেজাউল করিমকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে। 
ন্যা বেগমের দিকে পিস্তল ধরে আছেন ডিবি সদস্য। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাদা পোশাকে অভিযান চালানোর সময় আসামির স্ত্রীর মাথায় পিস্তল তাক ও শিশুকে আঘাত করার ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক উপপরিদর্শকসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসানের আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মঙ্গলবার বিকেলে এ মামলা করেন আসামির স্ত্রী।

আদালত মামলাটি নথিভুক্ত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার বাদীর আইনজীবী শওকত আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী নূরুল আলমের বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় মামলা হয়। অভিযোগ ছিল, নূরুল আলম সৌদি থেকে আরেকজনের স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। 

নূরুল আলম নিজ বাড়িতে আছেন—এমন খবর পেয়ে গত শুক্রবার বিকেলে ডিবি পুলিশ সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। এ সময় বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে এক নারীর মাথায় পিস্তল তাক করেন ডিবি পুলিশের সদস্য। একই সময় ওই বাড়ির এক শিশুকেও আঘাত করা হয়।

এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযান পরিচালনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমকে প্রধান আসামি করা হয়। 

অপর আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের এনামুল হক (১৯), একই এলাকার শামসুল ইসলাম (৩০), তাজুল ইসলাম (৩৯) ও মো. সাগর (২০)। 

এছাড়া, ডিবি পুলিশের আরও কয়েকজন সদস্য ও পুলিশের স্থানীয় সোর্সসহ অজ্ঞাত ৮ জনকে একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

বাদীর আইনজীবী জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি আমলে নেন এবং এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন আজ বিকেলে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালতের আদেশের কপি এখনো আমার কার্যালয়ে আসেনি। আদেশের কপি পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করা হবে।'

এর আগে, বন্যা বেগম গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করেন। তবে আদালত সেটি নথিভুক্ত করেননি।

Comments