সাঈদীর চিকিৎসককে হত্যার হুমকিদাতা তাফসিরুল শিবিরকর্মী: র‍্যাব

দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকিদাতা তাফসিরুল ইসলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তাফসিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসক এস এম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকিদাতা তাফসিরুল ইসলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গতরাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর এলাকা থেকে তাফসিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি স্থানীয় একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন। তিনি স্কুলজীবন থেকেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য। তিনি আইটিতে দক্ষ হওয়ায় অনলাইনে ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ করতেন।

তাফসিরুলের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম রফি জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী। ২০১৩-২০১৪ সালে এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির অপরাধে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয় এবং সেসব মামলায় তিনি কারাভোগ করেন, জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

খন্দকার আল মঈন জানান, তাফসিরুল গ্রুপ অ্যাডমিন হিসেবে ফেসবুকে শিবির সংশ্লিষ্ট দুটি গ্রুপ পরিচালনা করেন। মূলত তিনি দলীয় ও রাজনৈতিক মতাদর্শ, ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও আক্রোশ থেকে সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার চিকিৎসক মোস্তাফা জামানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর খুঁজে বের করে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে চিকিৎসক মোস্তফা জামান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে তাফসিরুল সেই মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মুছে দেন। কিন্তু তার মোবাইলে হত্যার হুমকি সম্বলিত মেসেজের স্ক্রিনশট পাওয়া যায়।

তাফসিরুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi students terrified over attack on foreigners in Kyrgyzstan

Mobs attacked medical students, including Bangladeshis and Indians, in Kyrgyzstani capital Bishkek on Friday and now they are staying indoors fearing further attacks

56m ago