বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে গণমাধ্যমও: পিটার হাস

‘নির্বাচনে যারাই বাধা দেবে—সরকারি দল, বিরোধী দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারবিভাগের সদস্য কিংবা গণমাধ্যমকর্মী—সবার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে।’
পিটার হাস
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় গণমাধ্যমও যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

আজ রোববার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এর কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যারাই বাধা দেবে—সরকারি দল, বিরোধী দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারবিভাগের সদস্য কিংবা গণমাধ্যমকর্মী—সবার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ হবে।'

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি। তবে কত জনের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

পিটার হাস বলেন, 'এখানে সংখ্যা নয়, বার্তাটাই গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই আমরা এটা করছি।'

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের পরিবারের সদস্যরাও ধারাবাহিকভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আসবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'মার্কিন ভিসা নীতি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয়।'

এর আগে গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা আছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ক্ষেত্রে আরও যারা দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হবে, ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। এই তালিকায় বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina mourns death of Iran President Ebrahim Raisi

Hasina conveyed her condolence in a letter to interim president of Islamic Republic of Iran Mohammad Mokhber

1h ago