গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ১৫, আহত ৬০

অ্যাম্বুলেন্স বহরে হামলার ঘটনাকে ‘ভীতিকর’ হিসেবে বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
গাজায় আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। ছবি: এএফপি

অবরুদ্ধ গাজায় আল-শিফা হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্স বহরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে আজ গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া একটি স্কুলে ভোরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা শুক্রবার বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের একটি বহর আল-শিফা হাসপাতাল থেকে গুরুতর আহত রোগীদের মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেসময়ে ইসরায়েলের বিমান হামলা চালানো হয়।

'আমরা রেডক্রস, রেডক্রিসেন্টসহ সবাইকে জানিয়েছি এটি আহতদের বহকারী একটি মেডিকেল কনভয় ছিল,' বলেন তিনি।

এদিকে গাজার অ্যাম্বুলেন্সে ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স বহরে হামলার ঘটনাকে 'ভীতিকর' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয় বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স বহরে হামলার ঘটনা অত্যন্ত আতঙ্কের।

হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় মানুষের মরদেহগুলো পড়ে আছে, এটি অত্যন্ত ভয়ংকর, বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

জাতিসংঘ মহাসচিব গাজায় অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, 'প্রায় এক মাস ধরে, গাজার বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে শিশু এবং নারী রয়েছে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না, হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের বাড়িঘরে বোমা ফেলা হচ্ছে। অবশ্যই এটি বন্ধ করতে হবে।'

আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স বহরে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি হামাস এসব অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করছিল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি।

Comments

The Daily Star  | English

Iran's President Raisi, foreign minister killed in helicopter crash

President Raisi, the foreign minister and all the passengers in the helicopter were killed in the crash, senior Iranian official told Reuters

1h ago