ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু

নিরাপদ প্রজননের জন্য ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে যাচ্ছে।
ইলিশ
ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে যাওয়ায় বরিশালের পোর্ট রোড পাইকারি বাজারে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: টিটু দাস/স্টার

নিরাপদ প্রজননের জন্য ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।

নিষেধাজ্ঞা সফল করতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপপরিচালক আানিসুর রহমান তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে মাইকিং করা হয়েছে, মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচার চালানোর কথা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে জেলা প্রশাসকের টাস্কফোর্স উপজেলা প্রশাসনসহ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে।'

'আইন ভেঙে ইলিশ ধরলে জেল-জরিমানা হবে,' যোগ করেন তিনি।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের হিসাব অনুসারে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো—বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর।

এ ছাড়াও, ৩১ জেলার ১৫৫ উপজেলার অংশ বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

চাঁদপুর থেকে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার ১০০ কিলোমিটার, ভোলার চর পিয়াল থেকে মেঘনার শাহবাজপুর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর চর রুস্তম ও তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরে নরিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় মেঘনার ২০ কিলোমিটার ও বরিশালের হিজলা মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীর ৮২ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত।

মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ শাখার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ আরা মমি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবারই প্রথম জনপ্রতি ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ইলিশের এলাকাগুলোয় এ চাল দিতে আমরা কাজ করছি।'

তিনি জানান, চলতি বছর ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ জেলেকে ২৫ কেজি করে ১৩ হাজার ৮৭২ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হচ্ছে।

'২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলার ৬টি অভয়াশ্রম অন্তর্ভুক্ত আছে,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'নিরাপদ প্রজনন শেষে ইলিশ যাতে সাগরে ফিরে যেতে পারে সে জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা। প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা এর আওতা আছে।'

ভোলা সদর উপজেলার জেলে ফখরুদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখনো কোনো সরকারি সহায়তা পাইনি।' একই অভিযোগ ওই এলাকার অন্য জেলেদেরও।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলার এক লাখ ৫৭ হাজার জেলের মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার জেলে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা পাচ্ছেন।'

'সব জেলে খাদ্য সহায়তার আওতায় আসেননি। সবাইকে এর আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ১০০ কেজি করে চাল দেওয়ার দাবিও জানাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Iranian President Raisi feared dead as helicopter wreckage found

Iran's state television said Monday there was "no sign" of life among passengers of the helicopter which was carrying President Ebrahim Raisi and other officials

45m ago