আলবেনিয়া থেকে গ্রিসে অনুপ্রবেশের সময় বাংলাদেশির মৃত্যু

মৃত হাফিজুর রহমান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গুতগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
হাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে অনুপ্রবেশের সময় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।  

মৃত হাফিজুর রহমান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গুতগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

গত ২৩ এপ্রিল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পরিবার। বর্তমানে হাফিজুরের মরদেহ আলবেনিয়ার মাদার তেরেসা হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

জানা যায়, গত ২৯ মার্চ ওর্য়াক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের আরেক দেশ কসোভো যান হাফিজুর। দেশটিতে কিছুদিন অবস্থান করলেও ভাষা ও পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। তাই সেখান থেকে গ্রিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ গ্রিসে তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। সেই চিন্তা থেকে আরও কয়েকজন অভিবাসীর সঙ্গে কসোভো থেকে আলবেনিয়ায় চলে যান হাফিজুর। আলবেনিয়ায় গিয়ে দুদিন হোটেলে রাতযাপন করেন। পরে গত ২০ এপ্রিল দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন হাফিজুরসহ পাঁচ বাংলাদেশি অভিবাসী।

তবে গ্রিসে প্রবেশের সময় সীমান্তের পাহাড়ে হাফিজুর হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বলে জানা যায়। এসময় দালাল তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে বাকি অভিবাসীদের নিয়ে গ্রিসে চলে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করে মরদেহ মর্গে পাঠায়।  

হাফিজুরের ভাই আব্দুর রহমান বলেন, 'অনেক কষ্ট করে ছোট ভাইকে কসোভোতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে কসোভো থেকে গ্রিসে আসার পথে মারা গেছে। খবরটি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। তবে আলবেনিয়ার হাসপাতালে যোগাযোগ করে আমরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।'

এ বিষয়ে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, 'হাফিজুরের পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন। আমরা আলবেনিয়ায় যোগাযোগ করছি। মরদেহ দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Bodies recovered from Raisi helicopter crash site

President Raisi, the foreign minister and all the passengers in the helicopter were killed in the crash, senior Iranian official told Reuters

5h ago