ঠিকাদারির আড়ালে চোরাকারবার, কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার ৭

ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য ধাতব মুদ্রা চোরাকারবার করে আসছিলেন।
ছবি: সংগৃহীত

কষ্টিপাথরের মূর্তি ও বিভিন্ন ধাতব মুদ্রা চোরাকারবারকে কেন্দ্র করে একজনকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার ও অপহৃতকে উদ্ধার করে র‍্যাব-৩।

র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের স্টাফ অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার হাজী ওয়াজী উল্লাহ্ খোকন (৬৫), মো. আরিফ হোসেন (৫৫), সাইফ উদ্দিন আহমেদ মিলন (৬২), মো. স্বাধীন (৫২), ঢাকার হাতিরপুল এলাকার সিরাতুল মোস্তাকিম (৫৮), চাঁদপুরের মো. রুহুল আমিন (৬০) ও মাদারীপুরের মো. জাকির হোসেন (৩০)।

এ চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার হাজী ওয়াজী উল্লাহ্ খোকনের মতিঝিল এলাকায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে। ঠিকাদারি ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কষ্টিপাথরের মূর্তি ও দুষ্প্রাপ্য ধাতব মুদ্রা চোরাকারবার করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খোকন হাজীর নেতৃত্বে ৮-৯ জনের একটি দল গত ১ মে রাতে ফতুল্লা থানাধীন তুষারধারা এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে একজনকে অস্ত্রের মুখে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। 

অপহৃত আনোয়ার হোসেন খান (৪৪) খোকন হাজীর চোরাকারবারির সহযোগী মোস্তফা হাওলাদারের ভায়রা বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

মোস্তফা হাওলাদার দুষ্প্রাপ্য মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা সরবরাহের কথা বলে খোকন হাজীর কাছ থেকে ৯৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ও নকল মূর্তি ও ধাতব মুদ্রা দেয়।

পরে মোস্তফাকে খুঁজে না পেয়ে তার ভায়রা আনোয়ারকে অপহরণ করে খোকন হাজী এবং মুক্তিপণ বাবদ তার পরিবারের কাছে ৯৫ লাখ টাকা দাবি করে। 

আনোয়ারের ছোটভাই সাড়ে ১৭ লাখ টাকা জোগাড় করে অপহরণকারীদের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। চক্রটি বাকি টাকা দাবি করে এবং আনোয়ারকে হত্যার হুমকি দেয়। 

অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোকন কাজীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে এবং একটি রিভলবার, একটি শটগান ও ৮ রাউন্ড গুলি জব্দ করে।

Comments

The Daily Star  | English

Police didn't follow int'l standards while using lethal weapons: IGP

Police failed to adhere to the standards in home, which they have maintained during their UN missions, Mainul Islam said

6h ago