ক্রীড়া সাংবাদিককে প্রশ্ন খেলাইফির, 'আপনি কি ফুটবল বোঝেন?

ঘরের মাঠেও ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে পিএসজি

আবারও স্বপ্নভঙ্গ পিএসজির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে দলটি। তাও আবার ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে হেরে গিয়েছে তারা। এমন হারের পর কিছুটা তোপের মুখে পড়েছেন কোচ লুইস এনরিকে। তাকে ছাঁটাই করা হবে কি-না প্রশ্নও উঠেছে। তাতে বেজায় খেপেছেন পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফি।

মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। জার্মান ক্লাবটির মাঠে প্রথম লেগেও তারা হেরেছিল একই ব্যবধানে। ফলে ২-০ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় প্যারিসিয়ানদের হতাশ করে ফাইনালের টিকিট কাটে ডর্টমুন্ড।

অথচ একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার জন্য অনেক বছর ধরেই কারিকারি টাকা খরচ করছেন খেলাইফি। কিন্তু প্রতিবারই শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে তাদের। এবার কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে বিদায় করে দেওয়ার পর ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ছিল তারা। কিন্তু ফের হতাশা সঙ্গী হয় তাদের।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খেলাইফি। আগামী মৌসুমেও এনরিকেকে কোচ থাকছেন কিনা জানতে চাইলে পিএসজি মালিক বলেন, 'এটা কেমন প্রশ্ন? সত্যি, আপনি কি কিছু ফুটবল জানেন কিংবা বোঝেন? আমরা ইউরোপের সর্বকনিষ্ঠ স্কোয়াড নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প তৈরি করছি, ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে। আমরা এগিয়ে যাব।'

অবশ্য দুর্ভাগ্যও সঙ্গ দিয়েছিল পিএসজিকে। ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে মোট ৪৪টি শট নিয়েছে তারা। কিন্তু একবারও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি দলটি। ছয়বার তাদের প্রচেষ্টা প্রতিহত হয়েছে বারপোস্টে লেগে।

ভাগ্যকে দোষ দিয়ে খেলাইফি বললেন, 'এই ফলাফলে আমরা খুবই হতাশ এবং দুঃখিত। আমার মনে হয় আমাদের আর ভালো কিছু প্রাপ্য ছিল। সবমিলিয়ে আজকে চারবার বারপোস্টে হিট করেছি এবং গত সপ্তাহে দুইবার। কিন্তু বল ভিতরেই যেতে চাইছিল না। এটা কঠিন।'

'আমরা জিততে চেয়েছিলাম তবে ডর্টমুন্ডকে অভিনন্দন। আমরা সত্যিই ভেবেছিলাম আমরা ফাইনালে যেতে পারব। আমরা ভালো দল ছিলাম। আমি আমাদের দল নিয়ে গর্বিত, ইউরোপের সর্বকনিষ্ঠ দল। পাঁচ বছরে তৃতীয়বার আমরা সেমিফাইনালে উঠলাম। অবশ্যই, এটি (হেরে যাওয়া) আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না, তবে এটাই ফুটবল - কখনো কখনো এটা ন্যায্য হয় না,' যোগ করেন খেলাইফি।

Comments

The Daily Star  | English

Railway off track

A whopping Tk 1.22 lakh crore was poured into Bangladesh Railway for its development over the last 16 years, but the agency still faces a crippling crisis brought by ageing locomotives, carriages, and a shortage of staff due to what experts say are poorly planned and delayed projects.

2h ago