বিশ্বকাপে ছক্কার যে রেকর্ডে গেইলকে ছাড়িয়ে পুরান

এবারের বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে পুরানের হাঁকানো ছক্কার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে। টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে কোনো নির্দিষ্ট আসরে এতগুলো ছক্কা নেই আর কোনো ক্রিকেটারের।
ছবি: এএফপি

সৌরভ নেত্রভালকারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন নিকোলাস পুরান। এতেই চূড়ায় উঠে গেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডে পূর্বসূরি ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেললেন তিনি।

শনিবার বার্বাডোজে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের ৯ উইকেটের বিশাল জয়ের ম্যাচে শীর্ষে আরোহণ করেন পুরান। তিনে নেমে ১২ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। সেই পথে ১ চারের সঙ্গে মারেন ৩ ছক্কা। ফলে এবারের বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে তার হাঁকানো ছক্কার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে। টি-টোয়েন্টির বিশ্বমঞ্চে কোনো নির্দিষ্ট আসরে এতগুলো ছক্কা নেই আর কোনো ক্রিকেটারের।

চলমান আসরে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলা পুরান কেবল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ছক্কা মারতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি, পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে দুটি, উগান্ডার বিপক্ষে তিনটি ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আটটি ছক্কা হাঁকান।

ছবি: টুইটার

এই কীর্তিটি এতদিন ছিল ইউনিভার্স বস খ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার গেইলের দখলে। তিনি ২০১২ সালের আসরে মেরেছিলেন ১৬ ছক্কা। এই তালিকার তিনে যৌথভাবে রয়েছেন দুজন, যারা ওই বিশ্বকাপেই ছক্কা বৃষ্টিতে শামিল হয়েছিলেন। তাদের একজন আবার ক্যারিবিয়ানই— মারলন স্যামুয়েলস। তার মতো অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসনও ২০১২ সালে ১৫ বার বল সীমানার বাইরে পাঠিয়েছিলেন।

এক আসরে সর্বোচ্চ ছক্কার কীর্তি হাতছাড়া করলেও আরেকটি রেকর্ডে অনেকটা ব্যবধান রেখে শীর্ষে আছেন গেইল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসর মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক তিনিই। ৩৩ ম্যাচের ৩১ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৩ ছক্কা। এই তালিকায় গেইলের ধারেকাছে নেই আর কেউ। অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ৪০ ও ভারতের রোহিত শর্মা ৩৯ ছক্কা নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বরে আছেন।

এদিন সুপার এইটের দুই নম্বর গ্রুপের ম্যাচে দুই স্বাগতিকের লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উইন্ডিজ। তারা জিতেছে ৫৫ বল হাতে রেখে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আমেরিকানরা ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১২৮ রানে। জবাবে ১০.৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তুলে খেলা শেষ করে ক্যারিবিয়ানরা। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকল তারা।

Comments