ক্রিকেট

তিন ওভারে ৪৫ তোলার লক্ষ্য রেখেছিল গুজরাট

শেষ বলে দরকার ছিলো ২ রান, রশিদ খান বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়ে মাতেন উল্লাসে। শেষ ওভারে ১৫ তুলে রাজস্থান রয়্যালসকে এবারের আসরে প্রথম হারের স্বাদ দেয় গুজরাট টাইটান্স।
Rashid Khan

শেষ বলে দরকার ছিলো ২ রান, রশিদ খান বাউন্ডারি মেরে দলকে জিতিয়ে মাতেন উল্লাসে। শেষ ওভারে ১৫ তুলে রাজস্থান রয়্যালসকে এবারের আসরে প্রথম হারের স্বাদ দেয় গুজরাট টাইটান্স। রোমাঞ্চকর জয়ের পর গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিল বলছেন, শেষ ৩ ওভারে ৪৫ রান নেওয়ার লক্ষ্য ছিলো তাদের।

১৯৭ রান তাড়ায় সাই সুদর্শনকে নিয়ে দারুণ শুরু আনেন গিল। তবে মাঝের ওভারে হুট করে পথ হারায় গুজরাট। সুদর্শনের পর দ্রুত ফেরেন ম্যাথু ওয়েড, অভিনব মনোহোর, বিজয় শঙ্কররা। এক পাশে হাল ধরে তখন দলকে টানছিলেন গিল। ৪৪ বলে ৭২ করে তিনিও যখন ফেরেন ২৮ বলে আরও ৬৪ রান লাগত গুজরাটের।

আশা কি তখন নিভু নিভু দেখছিলেন গুজরাট অধিনায়ক? পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে তিনি জানান, 'একদমই না'। বরং পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে জেনেই হিসাব করে রেখেছিলেন তারা, 'আমরা আসলে তিন ওভারে ৪৫ তোলার লক্ষ্য নিয়েছিলাম, যেটা ছিলো নেওয়ার মতন। ওভারপ্রতি ১৫ রান, দুইটা করে বল মারতে হবে। ওই মানসিকতাই ছিলো সেসময়। গাণিতিকভাবে দুই ব্যাটারেরই ৯ বলে ২২ করে হতো। ৯ বলের মধ্যে দুই তিনটা বল হিট করতে হতো যদি একজন কেউ ক্ষিপ্র হয়। দেখেছেন দুই-তিন বল আগেই ম্যাচ নাগালে চলে আসে।'

শেষ দিকে ক্যামিও ইনিংসের চাহিদা মেটে রাহুল তেওয়াতিয়া আর রশিদ খানের ব্যাটে। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেটে মাত্র ১৪ বলে গড়েন ম্যাচ জেতানো ৩৬ রানের জুটি।

১১ বলে ২২ করে শেষ বলের আগে তেওয়াতিয়া রান আউটে বিদায় নিলেও ১১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ করে নায়ক রশিদ। এই দুজনকে তাই কৃতিত্ব দিলেন গিল, 'আমি শেষ করতে পারলে খুশি হতাম কিন্তু যেভাবে রশিদ (খান) ভাই ও রাহুল (তেওয়াতিয়া) ভাই কাজটা শেষ করেছেন সেটা দারুণ ছিলো আমাদের জন্য।'

Comments