হৃদয়ের ব্যাটে ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের ১৫৩ রানের পুঁজি

দুই ওপেনারের ইতিবাচক সূচনার পরও ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ।
Towhid Hridoy
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাত্র ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ল বাংলাদেশ। সেই বিপাক থেকে তারা উদ্ধার পেল পঞ্চম উইকেটে ৪৭ বলে ৬৭ রানের জুটিতে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ত্রিশের ঘরে পৌঁছে আউট হলেও তাওহিদ হৃদয় থামার আগে করলেন ফিফটি। এতে তুলনামূলক বেশ দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপরীতে সফরকারী টাইগারদের পুঁজি ছাড়াল দেড়শ।

মঙ্গলবার টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তুলেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।

চারে নেমে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নেন হৃদয়। তবে ৪১ রানে মাঠ ছাড়তে পারতেন। ক্যাচ দিয়েও নো বল হওয়ায় বেঁচে যান। পরে ৪০ বলে ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শের পর তিনি করেন ৫৮ রান। তার ৪৭ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কা। কার্যকর ব্যাটিংয়ে ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ করেন ৩১ রান। ২২ বল মোকাবিলায় দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি।

ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ বলে ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে প্রথম পরিবর্তন এনে সাফল্য মেলে যুক্তরাষ্ট্রের। জাসদীপ সিংয়ের বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। বাজে ফর্মের ধারা ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে তিনি আউট হন ১৫ বলে ১৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে একটি করে ছক্কা ও চার।

আরও আগেই অবশ্য সাজঘরে ফিরতে পারতেন ওপেনার লিটন। দুবার জীবন পান। দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ পড়ে। পরের ওভারে রানআউট থেকে বেঁচে যান তিনি। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

৩৭ রান তুলে পাওয়ার প্লে শেষ করার আগে আরেক ওপেনারের উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই সৌম্য সরকারকে বিদায় করেন স্টিভেন টেইলর। তখনও দলীয় রান ছিল সেই ৩৪। সুইপ করার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে নিতিশ কুমারের তালুবন্দি হন সৌম্য। ভালো শুরুর পর থিতু হতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। ১৩ বলে তিনটি চারে তিনি করেন ২০ রান।

ক্রিজে গিয়েই হৃদয় সাবলীল ঢঙে খেলতে থাকলেও তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ধুঁকছিলেন। নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে অষ্টম ওভারে তার ভোগান্তির ইতি টানেন টেইলর। হাত খোলার প্রয়াসে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে যাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ককে স্টাম্পড করেন যুক্তরাষ্ট্রের দলনেতা মোনাঙ্ক প্যাটেল। ১১ বল খেলা শান্তর রান ৩।

পাঁচ নম্বরে উইকেট যাওয়া সাকিব আল হাসানও খোলসবন্দি ছিলেন। নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হৃদয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি রানআউট হন দ্বাদশ ওভারে। তার ১২ বলে ৬ রানের ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি।

এরপর হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে ইনিংসের শেষ আট ওভারে ৮২ রান ওঠে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। ১৯তম ওভারে সৌরভ নেত্রভালকারের বল সীমানাছাড়া করতে গিয়ে নিতিশকে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। আর ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে আলী খানের দেওয়া ফুলটসে টেইলরের তালুবন্দি হন হৃদয়। জাকের আলী অনিক ৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত থেকে যান।

Comments