মঙ্গলবার সভায় বসবেন বিসিবি পরিচালকরা, আলোচনায় বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র পরিচালনা পরিষদের প্রথম সভা হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার।
BCB Meeting

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)'র পরিচালনা পরিষদের প্রথম সভা হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার। নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী এই সভা হলেও তাতে আলোচনায় থাকবে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই সভা। সেখানে আনুষ্ঠানিক এজেন্ডায় পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি, আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকছে। তবে নাজমুল হোসেন শান্তদের পারফরম্যান্সও আলোচনায় উঠবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী , 'আগামী কাল আমাদের বোর্ডের সভা রয়েছে। রুটিন বিষয়গুলোই আলোচিত হবে। এর বাইরে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাজের বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। বাংলাদেশ দল কোন আইসিসি বা এসিসির আসরে অংশ নিলে, এরপরের সভায় পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়। এবারও তা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিক কিছু বিষয় আছে আলোচ্য সূচিতে।'

খাতায় কলমে এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে ইতিহাসের নিজেদের সবচেয়ে বেশি তিন ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে এই তিন জয়ের দুটিই ছিলো আইসিসি সহযোগী দেশ নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সুপার এইটে উঠে বাংলাদেশ একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। বড় দুই দল অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে বিন্দুমাত্র লড়াই করতে পারেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল সমীকরণ থাকলেও সেই লক্ষ্য সাহস দেখাতে পারেনি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর শান্তদের সমালোচনা চলছে তুমুল। দলের নেতিবাচক মানসিকতায় বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গেছে সাবেক ক্রিকেটারদেরও।

এদিকে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন প্রকাশ্যেই প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সমালোচনা করেছেন। বোর্ড সভায় তাই হাথুরুসিংহের পারফরম্যান্স নিয়েও কথা উঠতে পারে।

বিশ্বকাপ শেষ হলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো কথা বলতে দেখা যায়নি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তিনিও মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সামনে আসতে পারেন।

২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে কেবল দুই ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। চরম ব্যর্থতার পর গঠন করা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। লম্বা সময় নিয়ে ব্যর্থতার  কারণ খোঁজার চেষ্টা হলেও তাদের অনুসন্ধানে কি বেরিয়ে এসেছে, তা জানানো হয়নি। এবারও তেমন কোন কমিটি করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago