সংগ্রহ ছোট হলেও আত্মবিশ্বাস ছিল, জানালেন রেকর্ডগড়া তানজিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট খেলানোর রেকর্ড এখন তানজিমের।
ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে জেতার কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে টাইগারদের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে তানজিম হাসান সাকিব জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। আঁটসাঁট বোলিংয়ে তিনি জায়গা করে নিলেন কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরের রেকর্ড বইতেও।

সোমবার ডানহাতি পেসার তানজিম শুরু থেকে টানা চার ওভারের স্পেল করেন। দুটি মেডেনসহ স্রেফ ৭ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ৪ উইকেট। তার তোপে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা নেপাল পরে ঘুরে দাঁড়ালেও বাংলাদেশকে টলাতে পারেনি। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া তানজিম ২১টি ডট বল খেলান প্রতিপক্ষকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে একজন বোলারের এত বেশি ডট বল দেওয়ার নজির আর নেই। বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট খেলানোর রেকর্ডও এটি।

ম্যাচের পর তানজিম জানান, পুঁজি ছোট হলেও তা রক্ষা করার আত্মবিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ দলের, 'আমরা সবকিছু স্রেফ সহজ রাখতে চেয়েছি। আতঙ্কিত না হয়ে ভালো জায়গায় বল ফেলতে চেষ্টা করেছি। এই সংগ্রহ ডিফেন্ড করতে আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমাদের বোলিং আক্রমণটা চমৎকার। সবাই খুব ভালো বল করেছে।'

নেপালের ইনিংসের প্রথম ওভারে ৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তানজিম। আক্রমণে ফিরে মেডেনসহ দুটি শিকার ধরেন তিনি। পঞ্চম ওভারে আবারও মেডেন নেওয়ার সঙ্গে একটি উইকেট তুলে নেন। বোলিং স্পেলের শেষ বলেও উইকেট প্রাপ্তির উল্লাস করেন তানজিম। ওই ওভারে তিনি দেন মাত্র ২ রান।

কিংস্টাউনে ২১ রান জিতে 'ডি' গ্রুপ থেকে এবারের বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা তিন বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১০৬ রানে। ব্যাটাররা বরাবরের মতো ব্যর্থ হলেও বোলাররা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেখান দুর্দান্ত নৈপুণ্য। চার বল বাকি থাকতে নেপালকে ৮৫ রানে গুটিয়ে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তানজিমের পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান বল হাতে নজর কাড়েন। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ৩ উইকেট পান ৭ রানে। আগের তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকা বাঁহাতি স্পিনার সাকিব ২ উইকেট দখল করেন ৯ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges countries to engage with 'new Bangladesh'

Highlighting the context of the anti-discrimination student movement and the changes it brought to Bangladesh, Prof Yunus said the "power of the ordinary people", in particular the youth, presented to the nation an opportunity to overhaul many of the systems and institutions

7h ago