আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

রোহিত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা মানুষ: হেড

রোহিতের ক্যাচটি প্রায় ১১ মিটার পেছনের দিকে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে ধরেন হেড।

রোহিত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা মানুষ: হেড

রোহিতের ক্যাচটি প্রায় ১১ মিটার পেছনের দিকে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে ধরেন হেড।

রোহিত শর্মা যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন তখন হুহু করে বাড়ছিল ভারতের দলীয় সংগ্রহ। এক পর্যায়ে রানরেট ছিল আটের উপরে। এরপর অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরে রোহিতকে তো ফিরিয়ে দেনই, পুরো ভারতের রানে গতিতে লাগাম পরিয়ে দেন ট্রাভিস হেড। এমন দুর্দান্ত ক্যাচের বলি হওয়ায় রোহিতকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা মানুষ বলে মনে করছেন এই অস্ট্রেলিয়ান।

এবার বিশ্বকাপের প্রায় প্রতিটি ম্যাচে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছেন রোহিত, তাতে তিনি তখন আউট না হলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো। তার আগ্রাসনে শুরুতে পাত্তাই পাননি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় অস্ত্র জশ হ্যাজেলউড। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও চার-ছক্কা হাঁকান ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু এরপর ম্যাক্সির বলেই ফিরতে হয় তাকে। প্রায় ১১ মিটার পেছনের দিকে দৌড়ে ঝাঁপিয়ে রোহিতের ক্যাচ ধরেন হেড।

ম্যাচ শেষে তাই রোহিতের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে হেড বলেন, 'তিনি (রোহিত শর্মা) সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা মানুষ। এর (ফিল্ডিং) জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। সত্যি বলতে, সে আউট না হলে, আমি সেঞ্চুরি করতে পারতাম কি-না কে জানে! বিশ্বকাপ ফাইনালে যারা সেঞ্চুরি করেছেন, তাদের তালিকায় থাকাটা খুবই বিশেষ। সেই ক্যাচ ধরে রাখাটা দারুণ বিষয় ছিল।'

আহমেদাবাদে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট ছিল হেডের সেই ক্যাচই। কারণ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ আগ্রাসী ঢঙ্গে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রোহিত। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩০ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ রান তুলে নেন। কিন্তু আরও একটি বাউন্ডারি মারতে গিয়ে কভারে হেডের সেই অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন ভারতীয় অধিনায়ক। এই ক্যাচেই শিরোপার কাছে চলে যায় অজিরা।

অথচ পুরো আসর জুড়ে কী দারুণ ক্রিকেটই না খেলেছে ভারত। প্রথম রাউন্ড থেকে সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত একচ্ছত্র দাপটে টানা জয়। কিন্তু ফাইনালে এসে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল তারা। তাতে তৃতীয় শিরোপা জয় স্বপ্নই থেকে গেল দলটির। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ফাইনালেও ধরে রাখতে পারলে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারতেন রোহিত শর্মা।

আগের দিন সে অর্থে জ্বলে উঠতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটাররা। যারা উইকেটে টিকেছিলেন, তারা ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত পুঁজি মিলেনি। মাঝারী পুঁজি নিয়েও অবশ্য বোলারদের সৌজন্যে দারুণ সূচনা পেয়েছিল দলটি। কিন্তু সে চাপও অব্যাহত রাখতে পারেনি তারা। হেডের সেঞ্চুরি উল্টো ভারতকে কোণঠাসা করে দেয়। এরপর তাকে যখন ফেরাতে পারে স্বাগতিকরা, ততোক্ষণে অজিদের জয় প্রায় নিশ্চিত।

Comments

The Daily Star  | English

Three difficult choices to heal economy

Bangladesh yesterday made three major decisions to cushion the economy against critical risks such as stubborn inflation and depletion of foreign currency reserves.

1h ago