বন্যায় নয় লাখ ৪২ হাজার ৮২১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন
পানির চাপে চাটখিল উপজেলার নাহারখিল-খিলপাড়া বাজার সংযোগ ব্রিজটি গতকাল ভেঙে গেছে
বন্যার পূর্বাভাস থাকায় প্রায় প্রতিরাতে বন্যার আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
‘গত ১০ দিন হলো গরুকে পানির সঙ্গে একমুঠো ধানের কুড়া মিশিয়ে খেতে দিচ্ছি। না খেয়ে গুরুগুলো শুকিয়ে গেছে।’
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভালো না। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে নতুন করে দুই-তিন ইঞ্চি পানি বেড়েছে।
‘অপরিকল্পিতভাবে সড়ক উন্নয়ন, ড্রেনগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার না করা এবং পাহাড় কাটার কারণে এ ধরনের জলাবদ্ধতা হচ্ছে।’
এক ধরনের ভাসমান টয়লেট যা বন্যার পানিতে ভেসে থাকবে, পানি চলে গেলে মাটিতে বসে পড়বে, আবার বন্যার পানি আসলে ভেসে উঠবে।
জেলার লাখ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। ভয়াবহ এই বন্যায় নোয়াখালীতে এখন পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট ভবানী-জীবনপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এর পরে দুই-তিন ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে পাঠাও
এসব মরদেহের তালিকায় শিশু, নারী, যুবক, বৃদ্ধ- সব বয়সী মানুষ আছেন।
বাংলাদেশের সহায়তায় শিগগির তিনি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল পাঠাবেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এ তথ্য জানিয়েছেন।
সীমান্তবর্তী গ্রামটির অনেক মানুষের ঘর বন্যায় ভেসে গেছে।
ইতোমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় দেখা গিয়েছে খাদ্য সংকট। পর্যাপ্ত নৌকার অভাবে পৌঁছায়নি ত্রাণ সহায়তা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর সম্পূর্ণ ধ্বসে গেছে। এটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেউ ত্রাণ নিয়ে গেছেন বন্যাদুর্গত এলাকায়, কেউ দিয়েছেন অনুদান।
বন্যায় ১১টি জেলার ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫২ লাখের বেশি।
চার দিন অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার ভোরে মারা যান আলীম উল্লাহ। তখন তার বাড়ি, গ্রাম, এমনকি ইউনিয়নের চারপাশেই অথৈ পানি।