ইলন মাস্কের ‘সাধারণ ক্ষমা’, চালু হতে পারে টুইটারের স্থগিত অ্যাকাউন্ট

আগামী সপ্তাহ থেকে প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের কয়েকটি স্থগিত অ্যাকাউন্টকে ‘সাধারণ ক্ষমার’ আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্ক।
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

আগামী সপ্তাহ থেকে প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের কয়েকটি স্থগিত অ্যাকাউন্টকে 'সাধারণ ক্ষমার' আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্ক।

এ বিষয়ে টুইটারে সমীক্ষা পরিচালনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এই ঘোষণা দেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বুধবার ইলন মাস্ক টুইটারে সমীক্ষা পরিচালনা করেন। তিনি ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করেন, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনা উচিৎ হবে কিনা।

তবে তিনি শর্ত দেন, যারা আইন ভঙ্গ করেননি অথবা স্প্যামিংয়ের সঙ্গে জড়িত নন, শুধু তাদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হবে।

প্রায় ৩১ লাখ ৬০ হাজার ব্যবহারকারী এতে অংশ নেন এবং স্থগিত অ্যাকাউন্ট আবারও চালুর পক্ষে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পড়ে।

সমীক্ষার ভোটগ্রহণ বন্ধের পর গতকাল টুইট করে মাস্ক বলেন, 'জনগণ তাদের মত প্রকাশ করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সাধারণ ক্ষমা শুরু হবে।'

গত সপ্তাহে ইলন মাস্ক কয়েকটি স্থগিত অ্যাকাউন্ট চালু করেন। এর মধ্যে আছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্যাটায়ার ওয়েবসাইট ব্যাবিলন বি ও কৌতুক অভিনেত্রী ক্যাথি গ্রিফিনের অ্যাকাউন্ট।

গত অক্টোবরে মাস্ক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন, টুইটার বিভিন্ন মতাদর্শ অনুসরণকারীদের সমন্বয়ে কনটেন্ট মডারেশন কাউন্সিল তৈরি করবে। সে সময় তিনি আরও জানান, এই কাউন্সিল চালুর আগে কন্টেন্ট বা স্থগিত অ্যাকাউন্ট আবারো চালুর বিষয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।

তবে ইতোমধ্যে কিছু বিতর্কিত অ্যাকাউন্ট চালু করা হলেও এই কাউন্সিল বিষয়ে নতুন তথ্য দেননি মাস্ক।

টুইটারের মালিকানা নেওয়ার পর প্রথম কয়েকটি সপ্তাহে তিনি বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন, যা প্রযুক্তিবিশ্বে আলোড়ন ফেলে। তিনি টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরাগ আগারওয়ালসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন।

প্ল্যাটফর্মটির নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও একযোগে পদত্যাগ করেন।

গণ-পদত্যাগের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে ভোক্তা অধিকার রক্ষা করা। তারা জানিয়েছে, টুইটারের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছে।

গতকাল মাস্ক টুইটে আরও জানান, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটিতে গতির দিক দিয়ে কিছুটা উন্নত অভিজ্ঞতা পাবেন। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরের দেশের ব্যবহারকারীরা এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পাবেন বলে আশা করেন তিনি।

 

Comments