নাহিদুলের কাছে হারল তামিম-আশরাফুলরা

মূল কাজটা বল হাতেই করলেন নাহিদুল ইসলাম। দারুণ কৃপণ বোলিংয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যাটারদের আটকে রাখেন খোলসে। একই সঙ্গে তুলে নেন প্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু। তাতে সাধ্যেই মধ্যেই রইল পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ। এরপর বাকি কাজটা করেন ব্যাটাররা। তাতেও দারুণ অবদান রাখেন নাহিদুল। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দারুণ এক জয় মিলেছে দক্ষিণাঞ্চলের।

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পূর্বাঞ্চলকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৯২ রান করে পূর্বাঞ্চল। জবাবে ২৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণাঞ্চল।

অথচ লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২৫ রানেই দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও এনামুল হক বিজয়কে হারায় দলটি। এরপর মাইশুকুর রহমান ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪৯ রান। তাতে প্রাথমিক চাপ সামাল দেয় দলটি। তবে এরপর ১১ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটারকে হারালে ফের চাপে পড়ে যায় দলটি।

এরপর জাকির হাসানের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা চালান নাহিদুল। তবে এ অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আফিফ হোসেন। নাহিদুলের বিদায়ের পর জাকির ও ফরহাদ রেজার সঙ্গে দুটি জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন শেখ মেহেদী হাসান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী। ৫০ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ২৭ রান করে করেছেন তিন ব্যাটার -মাইশুকুর, জাকির ও নাহিদুল। পূর্বাঞ্চলের পক্ষে ২৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন আফিফ। এছাড়া ৩৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান নাঈম হাসানও।

এর আগে টস জিতে পূর্বাঞ্চলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণাঞ্চল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পূর্বাঞ্চলের। হতাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিন মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরে ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হয়েছে শেখ মেহেদী হাসানের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে। দলীয় ২১ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় দলটি।

এরপর তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস। গড়েন ৬১ রানের জুটি। তবে এ রান তুলতে খরচ করতে হয়েছে ১২৪ বল। রানের খাতা খুলতেই ৩০ বল খরচ করেছেন আশরাফুল। শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ১৫ রান করে নাসুম আহমেদের বলে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমরুলও।

পঞ্চম উইকেটে জাতীয় দলের ব্যাটার আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর। গড়েন ৪৮ রানের জুটি। আফিফকে বোল্ড করে এ জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভকে ৩৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান। তাতে কোনো মতে দুইশর কাছাকাছি রান সংগ্রহ করতে পারে দলটি।

পূর্বাঞ্চলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। ৯৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৭ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন ইরফান। এছাড়া আফিফ ২৯ ও সোহরাওয়ার্দী অপরাজিত ২২ রান করেন।

দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ১০ ওভার বল করে ৪৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ১০ ওভার বল করে ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান নাহিদুল ইসলাম।  

Comments

The Daily Star  | English
Rice_market

Development is not just about macroeconomic progress

Do macroeconomic concepts reflect the realities on the ground?

13h ago