পূর্বাঞ্চলকে উড়িয়ে শুভ সূচনা দক্ষিণাঞ্চলের

আফিফ হোসেন ও ইরফান শুক্কুরের জুটি ভাঙার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের ইনিংস। তাতে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে জয়ের জন্য বড় লক্ষ্য দিতে পারল না তারা। তৌহিদ হৃদয়ের আগ্রাসী ফিফটিতে সহজ রান তাড়ায় জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) শুভ সূচনা করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে জিতেছে ফরহাদ রেজার দক্ষিণাঞ্চল। ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে চতুর্থ ও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনে।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৯৫ রান নিয়ে খেলতে নামা পূর্বাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৫৭ রানে। অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ৪ উইকেট নেন ৩০ রানে। এতে দক্ষিণাঞ্চল পায় ৮৯ রানের মামুলি লক্ষ্য। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ৬০ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৭ চার ও ১ ছক্কা।
মূলত প্রথম ইনিংসে বড় রান তোলায় জয়ের ভিত পেয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পূর্বাঞ্চলের ২৬০ রানের জবাবে তারা করে ৪২৯ রান। পেয়ে যায় ১৬৯ রানের বড় লিড। সেই লিড টপকে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বেশিদূর এগোতে পারেনি ইমরুল কায়েসের পূর্বাঞ্চল।
ম্যাচ বাঁচাতে আফিফ ও ইরফানের দিকে তাকিয়েছিল পূর্বাঞ্চল। আগের দিনের ৫৩ রানের জুটিকে টেনে নিয়ে প্রতিপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হতে পারেননি তারা। সেঞ্চুরির সুবাস জাগানো আফিফকে ফেরান ফরহাদ। তাতে ভাঙে ৭৮ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। আফিফ ১২৩ বলের ইনিংসে ৮৬ রান করতে মারেন ৮ চার ও ৩ ছক্কা।
এরপর জল্বে ওঠেন নাহিদুল। ১০৭ বলে ৪০ রান করা ইরফানকে শেখ মেহেদীর ক্যাচ বানান তিনি। রেজাউর রহমান রাজা পড়েন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। এনামুল হকও বিদায় নেন ক্যাচ দিয়ে। নাঈম হাসানকে সাজঘরে পাঠিয়ে পূর্বাঞ্চলের ইনিংস থামান মেহেদী হাসান রানা। তারা শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ৩৭ রানে।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা দক্ষিণাঞ্চলের দুই ওপেনারকে ছয় ওভারের মধ্যে আউট করেন রাজা। এনামুল হক বিজয় ১১ বলে করেন ১১ রান। পিনাক ঘোষ ফেরেন ১৭ বলে ২ করে। এরপর অমিত হাসানের সঙ্গে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন হৃদয়। অমিত অপরাজিত থাকেন ৪৩ বলে ১৯ রানে।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন দক্ষিণাঞ্চলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ২৭৬ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে বিশাল লিড পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
Comments