আর্সেনালকে নিয়ে ছেলেখেলা খেলল ম্যানসিটি

আসরের প্রথম দুই ম্যাচে হার। তার মধ্যে একটি দল রয়েছে যারা কিনা ৭৬ বছর পর প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসেছে। সেখানে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বড় হার যেন অনুমিতই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। আর্সেনালকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেলেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার বিকেলে আর্সেনালকে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে সিটি। তবে ফরোয়ার্ডরা গোল মিসের মিছিলে না যোগ দিলে হয়তো ব্যবধানটা হতে পারতো আরও বড়। এমনকি দ্বিগুণ হওয়াটাও অস্বাভাবিক হতো না।
পুরো ম্যাচেই কোণঠাসা ছিল আর্সেনাল। বলার মতো কোনো আক্রমণই করতে পারেনি দলটি। মাত্র ১টি শট নিতে পেরেছে তারা। তাও অনটার্গেট ছিল না। অন্যদিকে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে ২৫টি শট নিয়েছে সিটিজেনরা। আর মাঝ মাঠে তো একচ্ছত্র দখল ছিল তাদের। ৮১ শতাংশ বল পায়ে ছিল দলটির।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর পয়েন্ট তালিকাও তাই এক রাশ বিস্ময় উপহার দেয়। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে একমাত্র দল জারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই দলটি কি-না এখন রয়েছে ২০ নম্বর অবস্থানে। তিন ম্যাচেই হার। গোল হজম করেছে ৯টি। আর প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল সিটি।
এদিন ম্যাচের ১২ মিনিট পার না হলেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় সিটি। সপ্তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া জেসুসের ক্রসে অসাধারণ এক হেডে বল জালে পাঠান গুন্দোগান। সিটির উৎসব যেন তখন থেকেই শুরু হয়।
পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পায় সিটি। তবে এ গোলে আর্সেনালের দুর্বল রক্ষণের ছবি ফুটে ওঠে। বের্নার্দো সিলভার ক্রসটি ঠেকাতে পারতেন আর্সেনাল ডিফেন্ডাররা। ঠেকাতে গিয়ে উল্টো এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো তোরেসের কাছে। লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা গানাররা আরও বড় ধাক্কা খায় ৩৫তম মিনিটে। হোয়াও কেনসেলোকে বিপজ্জনক ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন গ্রানিট জাকা।
১০ জনের দলটি ৪৩তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে। এবার স্কোরবোর্ডে নাম লেখান জেসুস। তবে এ গোলের মূল কারিগর গ্রিয়েলিশ। বাঁ প্রান্তে তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে জেসুসকে দারুণ এক কাটব্যাক করেন তিনি। বল ধরে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ ব্রাজিলিয়ান।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে থাকে সিটি। ৫৩তম মিনিটে চতুর্থ গোল পায় দলটি। এবার গোল করেন রদ্রি। তোরেসের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জালে পাঠান এ মিডফিল্ডার।
৮৪তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তোরেস। বদলি খেলোয়াড় রিয়াদ মাহরেজের নিখুঁত ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এ স্প্যানিশ তারকা। এরপরও বেশ কিছু সহজ সুযোগ পায় দলটি। তবে আর গোল না হলেও বড় জয় ঠিকই মিলে তাদের।
Comments