এমবাপেকে কিনতে টাকার অঙ্ক বাড়ালো রিয়াল

kylian mbappe
ছবি: এএফপি

পিএসজিতে আর থাকতে চাইছেন না ফরাসি তরুণ কিলিয়ান এমবাপে। রাখঢাক না রেখে ক্লাবকে সরাসরিই এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এ সুযোগটা নিতে চাইছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। দুদিন আগেই তাকে পেতে ১৬০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল দলটি। যদিও সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পিএসজি। এবার আরও বড় প্রস্তাব দিয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা।

১৬০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব পাওয়ার পরদিনই পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লিওনার্দো জানিয়েছিলেন, এই অঙ্ক যথেষ্ট নয়। এমবাপেকে পেতে হলে অঙ্কটা আরও বাড়াতে হবে তাদের। স্প্যানিশ ও ফরাসি গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, তাই করেছে রিয়াল। এবার টাকার অঙ্কটা বাড়িয়ে ১৭০ মিলিয়ন ইউরো করেছে দলটি। সঙ্গে অন্যান্য খরচ হিসেবে রয়েছে আরও ১০ মিলিয়ন ইউরো।

আরেক ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা'কিপ আগেই জানিয়েছে রিয়ালের কাছে এমবাপেকে বিক্রি করতে চায় না পিএসজি। আর করতে হলেও টাকার অঙ্ক আরও বেশি চায় দলটি। কমপক্ষে ২০০ মিলিয়ন ইউরো চায় তারা। আগের দিন লিওনার্দোও জানিয়েছেন প্রায় একই কথা। রিয়ালের কোনো প্রস্তাবেই আগ্রহী নন তারা। এমবাপেকে যেতে হলে তা হতে হবে পিএসজির শর্ত মেনেই।

আগের দিন উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠানে পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি সরাসরিই বলেছেন এমবাপের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি, 'ক্লাবের অবস্থান পরিষ্কার, কিছুই বদলায়নি। সবকিছু এখনও একরকমই, আমরা (আমাদের অবস্থান) পরিবর্তন করব না কিংবা পুনরাবৃত্তি করব না। লিওনার্দো বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছে এবং আমরাও একই রকম ভাবছি।'

কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদে যেতে এক প্রকার মরিয়াই হয়ে আছেন এমবাপে। চলতি মৌসুমে না হলেও আগামী মৌসুমে সে ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন তিনি। তখন আর কোনোভাবেই আটকাতে পারবে না পিএসজি। কারণ ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে মৌসুম শেষেই।

অন্যদিকে এমবাপেকে পেতে মরিয়া রিয়ালও। ২০১৮ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করার পর থেকেই তার দিকে নজর ক্লাবটির। কিন্তু পিএসজি তাকে ছাড়তে রাজী নয়। তবে এবার বেশ নড়েচড়ে বসেছে ক্লাবটি।

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

38m ago