বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়ান কাপে মালয়েশিয়া

এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটা ছিল মর্যাদা রক্ষার। তা কতোটা রক্ষা করতে পেরেছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে ম্যাচটা মালয়েশিয়ার জন্য ছিল এশিয়ান কাপের মঞ্চে ফিরে আসার। বাংলাদেশকে হারিয়েই মহাদেশীয় লড়াইয়ের টিকিট কেটেছে দলটি।
মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ শেষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল তারা।
এ জয়ে ১৯৮০ সালের পর বাছাই পর্ব উতরে এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিল মালয়েশিয়া। যদিও ২০০৭ সালেও এশিয়া কাপে খেলেছিল দলটি। তবে সেবার স্বাগতিক দেশ হিসেবে খেলার সুযোগ মিলে তাদের।
সাত দিনের মধ্যে তৃতীয় ম্যাচ খেললেও এদিন অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামেন বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকে স্বাগতিকরা। এগিয়ে যেতেও খুব বেশি সময় নেয়নি দলটি।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। সাফাউই রশিদের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে হাত ছোঁয়াতে পারলেও গতির কাছে হেরে যান বাংলাদেশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। যদিও পেনাল্টিটি ছিল বিতর্কিত। ট্যাকল করতে গিয়ে আতিকুর রহমান ফাহাদের পা ফয়সাল হালিমের পায়ে লাগলেও আগেই বল স্পর্শ করেছিলেন। তবে রেফারি ছিলেন সিদ্ধান্তে অনঢ়।
৩১তম মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এ যেন তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচে দেওয়া গোলের পুনরাবৃত্তি। বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো থেকে সেই রাকিব হোসেনের ব্যাক হেড। এরপর সেখান থেকে হেডে বল জালে পাঠান ইব্রাহিম।
সাত মিনিট পর ফের পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম পোস্টে ডিওন কুলের জোরাল শট আটকাতে পারেননি জিকো। তবে জিকোর নাগালেই ছিল। সাধারণত এ ধরণের বল হরহামেশাই সেভ করে থাকেন এ গোলরক্ষক। তবে এদিন ভাগ্য সঙ্গে থাকেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও একটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। এ গোলে অবশ্য বড় দায় রয়েছে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের। প্রতিপক্ষকে আটকানোর কোনো চেষ্টাই করেননি তারা। মূলত অফসাইডের ফাঁদ পেতেছিলেন। তবে সে ফাঁদ ভেঙে সতীর্থের দেওয়া ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন অধিনায়ক শফিক আহমেদ।
৭৩তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন বদলি খেলোয়াড় ড্যারেন লক। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রস পেয়ে গোল মুখে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
Comments