যে ৪ শর্তে পিএসজিতে থাকবেন এমবাপে

বছরে ৫০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে প্রায় এক মিলিয়ন ইউরো। চুক্তি নবায়ন করলে কিলিয়ান এমবাপেকে ঠিক এই পরিমাণ বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি। যা বর্তমান সময় তো বটেই, ফুটবলের ইতিহাসেই কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ বেতন। কিন্তু তাতেও মন গলছে না এ ফরাসির। আরও বেশ কিছু জিনিসই দাবি করেছেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম লা'কিপ।
আর চার মাস পরেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুরচ্ছে এমবাপের। এরপরই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন সময়ের অন্যতম সেরা এ তারকা। তাকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। বিভিন্ন সময়ে এমবাপেও রিয়ালে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আরেক ফরাসি সংবাদমাধ্যম বিল্ডের সংবাদ অনুযায়ী, ক্লাবটির সঙ্গে মৌখিক চুক্তিও সেরে ফেলেছেন এ তরুণ। তবে লা'কিপের মতে চারটি জিনিস নিশ্চিত করলেই প্যারিসের ক্লাবটিতে থেকে যাবেন এমবাপে।
ক্লাবের আরও সম্পৃক্ততা
পিএসজিতে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে আরও কঠোর নিয়মকানুন স্থাপন করা অপরিহার্য বলে মনে করেন এমবাপে। অনুশীলনে সময়ানুবর্তিতা থেকে শুরু করে ক্লাবের খেলোয়াড়দের দেওয়া ছুটি পর্যন্ত। সংবাদ অনুযায়ী, ক্লাবটির এ সকল বিষয় নিশ্চিত করা ক্ষমতা আছে কিনা তা নিয়ে কিছু সন্দেহ রয়েছে তার। অন্য মৌসুমের অভিজ্ঞতার মতো পরিস্থিতিতে মুখোমুখি হতে চান না এ তরুণ।
প্রজেক্টের প্রধান
স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের প্রজেক্টের প্রধান হতে চান এমবাপে। তবে সর্বোপরি মাঠের মধ্যে থাকতে চান বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা। অর্থাৎ খেলার ধরণ এমন হবে যা তাকে সবসময় সাহায্য করতে পারে এবং অন্য খেলোয়াড়দের মাঠে থাকার উপর নির্ভর করে না। দলের প্রধান পেনাল্টি টেকার হবেন তিনি। একই ফ্রি কিকও নিতে দিতে হবে তাকে।
২০২৩ সালে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
কাতার বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, প্যারিসীয় রঙে ফরাসি জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব এমবাপেকে দিয়েই করাতে চায় পিএসজি। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছরের চুক্তির প্রস্তাব মেনে নিবেন এ তরুণ। সেখানেও নিজের ইচ্ছে মতো চুক্তি বাতিলের স্বাধীনতা থাকবে এমবাপের। চাইলেই ২০২৩ সালে মৌসুমে শেষে ক্লাব ছাড়তে পারবেন এ তরুণ।
সর্বোচ্চ বেতন
একই সঙ্গে দিতে হবে সর্বোচ্চ বেতন। নিজের মর্যাদা অনুযায়ী সম্মানী আশা করছেন এমবাপে। যদিও এটা কোনো সমস্যা নয় পিএসজির জন্য। এরমধ্যেই রেকর্ড পরিমাণ বেতন ও বোনাসের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
Comments