৯ গোলের রোমাঞ্চে লেস্টারকে হারাল ম্যানসিটি

ম্যাচের ২৫ মিনিট না যেতেই চার গোলের ব্যবধানে এগিয়ে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। তাতে মনে হয়েছিল আরও একটি বড় ব্যবধানেই জয় পেতে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের ঝলকে তিনটি গোল পরিশোধ করে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে লেস্টার সিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো রূপকথার গল্প লিখতে পারেনি দলটি। বড় জয়েই মাঠ ছাড়ে সিটিজেনরা।
ইতিহাদে রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লেস্টার সিটিকে ৬-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের হয়ে জোড়া গোল পেয়েছেন রহিম স্টার্লিং। এছাড়া একটি করে গোল দেন কেভিন ডি ব্রুইন, রিয়াদ মাহরেজ, ইকাই গুন্দোগান ও আইমারিক লাপোর্তে। লেস্টারের হয়ে একটি করে গোল করেছেন জেমস ম্যাডিসন, আন্দেমলা লুকমান ও কেলেচি ইহেনাচো।
নিজেদের মাঠে এদিন মাঝমাঠের দখল রেখেই খেলতে থাকে ম্যানচেস্টার সিটি। ৭২ শতাংশ সময় বল পায়ে ছিল তাদেরই। ১৭টি শট নেয়, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ১৪টি শট নিয়ে ৮টি লক্ষ্যে রাখতে পারে লেস্টার সিটি।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। ফের্নান্দিনহোর বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ ডি ব্রুইন। ১৪তম মিনিটে সফল স্পটকিকে ব্যবধান বাড়ান মাহরেজ। ডি-বক্সে আইমারিক লাপোর্তেকে লেস্টারের ইউরি টিলেমান ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
১৯তম মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারতো লেস্টার। জেমস ম্যাডিসনের ফ্রিকিক সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের হাতে লেগে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
তিন মিনিট পর উল্টো আরও একটি গোল খায় তারা। হোয়াও ক্যানসেলোর কাটব্যাক ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক কেস্পার স্মাইকেল। তবে আলগা একেবারে ফাঁকায় পেয়ে যান ইকাই গুন্দোগান। আলতো শটে বল জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এ জার্মান মিডফিল্ডারের। ২৫তম মিনিটে সফল আরও একটি স্পটকিকে ব্যবধান ৪-০ করেন স্টার্লিং। ডি-বক্সে তাকে ফাউল করেছিলেন সেই টিলেমান।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫তম মিনিটে ব্যবধান কমায় লেস্টার। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ইহেনাচোকে বল পাস দেন ম্যাডিসন। ফিরতি পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে জালে পাঠান এ ইংলিশ মিডফিল্ডারের। তিন মিনিট পর ইহেনাচোর থ্রু পাস থেকে ব্যবধান আরও কমান লুকমান।
৬৫তম মিনিটে ম্যাচে ফিরেছিল লেস্টার। ম্যাডিসনের শট আরও একবার এদেরসন ঠেকালেও বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে এবার আলগা বল পেয়ে যান ইহেনাচো। ফাঁকায় বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এ নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের।
চার মিনিট পরই ফের ব্যবধান বাড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। মাহরেজের কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লাপোর্তে। পরের মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারতেন ইহেনাচো। ফ্রিকিক থেকে ম্যাডিসনের বুদ্ধিদীপ্ত পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন। গোলরক্ষক বরাবর শট নিলে নষ্ট হয় সে সুযোগ।
৮৭তম মিনিটে কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় ফের গোল পেয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। রুবেন দিয়াসের হেড ফাঁকায় পেয়ে দিক বদলে জালে পাঠান স্টার্লিং। ফলে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
এ জয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো ম্যানচেস্টার সিটির। ১৯ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট তাদের। দশম স্থানে থাকা লেস্টারের সংগ্রহ ১৭ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট।
একই সময়ে অপর ম্যাচে নরউইচ সিটিকে ৫-০ গোলে আর্সেনাল, ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে সাউদাম্পটন ও ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার্স।
Comments