জঙ্গিদের মৃতদেহ দাবি করেনি কেউ

রাজধানীর গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত মোট ১৪ জঙ্গির পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত তাদের মৃতদেহ দাবি করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান গুলশান-২ এ অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির মৃতদেহ এখনও ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে রয়েছে। ঐ হামলায় জঙ্গিরা নয়জন ইতালিয় এবং ছয়জন জাপানী নাগরিক সহ ২২জনকে হত্যা করে।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন- ‘মৃতদেহ দাবি করে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে কোন দরখাস্ত করেনি’।
জঙ্গিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হল- নিবরাস ইসলাম, রোহন ইমতিয়াজ, মীর সাবেহ মুবাশ্বের এবং খায়রুল ইসলাম পায়েল। অন্য একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
হলি আর্টিজান বেকারির বাবুর্চি এবং এই মামলার এজহারভুক্ত আসামী, সাইফুল ইসলামের মৃতদেহও হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে। একমাত্র সাইফুলের পরিবার মৌখিকভাবে তার লাশ নিয়ে যাবার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু পুলিশ জানায় তারা এখনও এই আসামীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত দরখাস্ত পায়নি।
জুলাই ১ তারিখে, একদল জঙ্গি বন্দুক ও তলোয়ার সহ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে সেখানে অবস্থানরতদের জিম্মি করে। পরদিন সকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে এই জিম্মি অবস্থার অবসান ঘটান এবং জঙ্গিরা নিহত হয়। ঐ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যও নিহত হন।
অন্যদিকে, জুলাই ২৬ তারিখে রাজধানীর কল্যাণপুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলাকালীন নিহত নয় সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন- ‘এখন পর্যন্ত কেউ মৃতদেহগুলো দাবি না করায় ময়নাতদন্তের পর সেগুলো ফরেনসিক বিভাগে রাখা হয়েছে’।
দুই-তিন জন মৃতদেহগুলো সনাক্ত করতে এলেও কেউ সেগুলো দাবি করেনি বলে জানায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র।
এই নয়জনের মধ্যে, আটজন জঙ্গির পরিচয় জানা যায়। তারা হল- দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ, পটুয়াখালির আবু হাকিম নাইম, ঢাকার ধানমণ্ডির তাজ-উল-হক রাশিক, গুলশানের আফিকুজ্জামান খান, বসুন্ধরার শেহজাদ রৌফ অর্ক, সাতক্ষীরার মতিয়ার রহমান, নোয়াখালির জুবায়ের হোসেন এবং রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির।
Comments