‘রাখাইনে খাদ্য সংকটের তথ্য চেপে গিয়েছিল জাতিসংঘ’

Rohingya Refugee Food crisis at Rakhaine State
রাখাইন রাজ্যে খাদ্য সংকট নিয়ে প্রতিবেদন মিয়ানমার সরকারের অনুরোধে সরিয়ে ফেলেছিল জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএফপি। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে এমন তথ্য জানা ছিল জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি)। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও তৈরি করেছিল তারা। তবে মিয়ানমার সরকারের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আজ গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

গত ৫ জুলাই রয়টার্সের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, রাখাইনে খাদ্য সংকট নিয়ে জরিপ চালিয়ে ডব্লিউএফপি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, গত বছর মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন অভিযানের পর থেকে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এরকম ৮০ হাজারেরও বেশি শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন।

রয়টার্সের খবরে আরও বলা হয়েছিল, যেসব শিশুর ওপর জরিপ চালানো হয় তাদের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার পায় এমন একজনকেও পাওয়া যায়নি। ডব্লিউএফপি মনে করে, পরের বছর নাগাদ পাঁচ বছরের কম বয়সী তীব্র অপুষ্টির শিকার এরকম ৮০ হাজার ৫০০ শিশুর চিকিৎসা দরকার হবে।

তবে মিয়ানমার সরকারের অনুরোধে ডব্লিউএফপি তাদের ওয়েবসাইট থেকে পুরো প্রতিবেদনটিই সরিয়ে ফেলে। সংস্থাটি গতকাল গার্ডিয়ানকে বলেছে, সরকারের তরফে অনুরোধ জানিয়ে তখন যৌথভাবে খাদ্য পরিস্থিতি মূল্যায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই প্রস্তাবে সাড়াও দিয়েছিল ডব্লিউএফপি।

তবে নিজেদের তৈরি প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলার পক্ষেও সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে সংস্থাটি। গার্ডিয়ানকে ইমেইলে তারা বলেছে, “রাখাইনের স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে কাজে পূর্বের  অবস্থানে অনড় রয়েছে ডব্লিউএফপি। আমরা মনে করি, পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয় এমন জায়গায় সব পক্ষের সাথে বিশেষ করে সরকারের সাথে সমন্বয় বজায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে।”

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে মিয়ানমারের স্থানীয় ডব্লিউএফপি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে। একটি সূত্র তাদের জানিয়েছে, মানবিক প্রয়োজনের চেয়েও মিয়ানমারের সরকারের সাথে সুসম্পর্ক বাজায় রাখা তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। তারা দেখায় যে সরকারের অনুমোদন নিয়েই তারা দেশটির বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম চালায়। এসব দেখিয়ে বিদেশি সহায়তা আকৃষ্ট করাই থাকে তাদের মূল লক্ষ্য।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
BNP demands national election by December 2025

BNP to sue election officials, CECs of last three polls

A three-member BNP team, led by its national executive committee member Salahuddin Khan, will file the complaint

2h ago