কাউন্সিলর সোহেল হত্যাকাণ্ড: অস্ত্রধারীদের অটোরিকশা ভাড়া করে দিয়েছিল অন্তু

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার রাব্বি ইসলাম অন্তু অস্ত্রধারীদের ঘটনার দিন বাজার করে দিয়েছে এবং অটোরিকশা ভাড়া করে দিয়েছিল। আজ সোমবার কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সন্ধ্যায় অন্তু ম্যাজিস্ট্রেট শামসুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে অন্তু আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি ৬ জন অংশ নেয়। এর আগে মামলার ৫ নম্বর আসামি সাজনের বাসায় তারা বৈঠক করে।

এদিকে ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজে মামলার এজাহারের প্রধান আসামি শাহ আলম ও নাজিমকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাহ আলম ও নাজিমকে চিহ্নিত করেছি।'
তিনি বলেন, 'অনুসন্ধান করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ৬ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। তারা হলেন-মামলার ১ নম্বর আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল, ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন। এ ছাড়া, স্থানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আগত অজ্ঞাত এক আসামি।'
পুলিশ কর্মকর্তা সোহান সরকার আরও বলেন, 'অনুসন্ধানে আমরা আরও জানতে পেরেছি যে আসামি সাজনের বাসায় বৈঠক শেষে তারা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।'
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়া পাড়া এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলায় সোহেল ও হরিপদ ছাড়াও রাসেল, আওয়াল হোসেন রিজু, মাজেদুল হক বাদল, জুয়েল ও সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন।
আহতদের স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ দাস মারা যান।
Comments