শিমুলিয়া দিয়ে ১৫৬ দিন পর স্পিডবোট চলাচল শুরু

বন্ধ থাকার ১৫৬ দিন পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে শুরু হয়েছে স্পিডবোট চলাচল।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়।
শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিমুলিয়া নদী বন্দর সূত্র জানায়, এ রুটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে স্পিডবোট। ৫ মাস আগে বোটগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বর্তমানে নিবন্ধন সম্পন্ন শেষে ১০১টি স্পিডবোট এ নৌপথে চলাচল শুরু করেছে।
এগুলোর মধ্যে শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট আছে ৫৩টি, বাংলাবাজার ঘাটের ২৯টি, মাঝিকান্দি ঘাটের ১৯টি। প্রতিটি স্পিডবোটে ১২ জনের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে না।
শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত যাত্রী প্রতি ১৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে বলে নদী বন্দর সূত্র জানায়।
মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোট বন্ধ থাকায় এ নৌপথে যাত্রীদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। এখন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চালকরা পরিচালনা করবেন। ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু থাকায় এখন সবাই ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যেতে পারবে।'
তিনি জানান, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ও উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকায় স্থগিত আছে ৪৪টি স্পিডবোটের নিবন্ধন। তার মধ্যে ৯ জনের ডোপ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, শুরুতে স্পিড বোটগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়। তারপর তাদের চালকের পরীক্ষা নেওয়া হয়। ডোপ টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় পাসের পর ড্রাইভিং লাইসেন্স ও সার্ভে সনদ দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ চলাচলের রুট পারমিট দিয়েছে। এভাবে কয়েকটি ধাপে চলাচলের বৈধতা পায় স্পিডবোট।
এ নৌপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধের আগে প্রায় চার শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করত। চলতি বছরের ৩ মে শিমুলিয়াঘাট থেকে যাত্রীবহনকারী স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটে নোঙরে বাল্কহেডকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এতে নিহত হয় ২৬ জন যাত্রী। ওই ঘটনার পর থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করে এ নৌপথটিতে স্পিডবোট চলাচলের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
Comments