অনুপমের পোস্ট ঘিরে আলোচনা কেন

দীর্ঘ ৬ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে আচমকা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায় ও তার স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। টুইটারে দেওয়া ওই আনুষ্ঠানিক বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন ভক্তরা।
তাদের বিয়ে ভাঙার পেছনে বারবার উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুজনের প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়।
অবশেষে গতকাল বিকেলে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। বন্ধুর প্রাক্তন স্ত্রীকে বিয়ে নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর মাঝেই ভাইরাল হয়েছে তাদের বিয়ের এক দিন আগে দেওয়া অনুপমের পোস্ট।
গত সোমবার ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে অনুপম লেখেন, 'নিজেই নিজেকে মারা, অন্যকে দিয়ে নিজেকে মারানো আর নিজেকে মরতে দেওয়া - এই তিনভাবেই আত্মহত্যা সম্ভব। কাজেই নিজেকে উদ্যোগ নিয়ে নিজেকে মারতে হবে - এমন নয়। - অরিন্দম চক্রবর্তী।'
পোস্টে অরিন্দম চক্রবর্তীর 'ভাতকাপড়ের ভাবনা এবং কয়েকটি আটপৌরে দার্শনিক প্রয়াস' বইটির ছবি দেন তিনি।
দুই বছর আগে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়ে অনুপম জানিয়েছিলেন, বিয়ে ভাঙলেও বন্ধুত্বটা তাদের অটুট থাকবে।
তবে আদৌ কি পিয়ার সঙ্গে কোনো বন্ধুত্ব থাকবে অনুপমের?—এমন প্রশ্নই করছেন ভক্তরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় যশের সময়ে ত্রাণ দিতে সুন্দরবনে গিয়েছিলেন পরমব্রত। সেখানে অনেকের সঙ্গে পিয়াও ছিলেন। তখন থেকেই দু'জনের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। পরে পরস্পরকে সমাজমাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ ও লন্ডনে শুটিংয়ের সময়ে পরমব্রতর সঙ্গে পিয়াও গিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।

তবে পরমব্রত বা পিয়া, দু'জনের কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলেননি।
পিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের খবরকে 'গুজব' বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন পরমব্রত। প্রকাশ্যে এ নিয়ে বিরক্তিও জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন পিয়াকে তিনি 'ভালো বন্ধু' হিসেবেই চেনেন।
৪৩ বছর বয়সী পরমব্রতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই আগ্রহ ছিল দর্শকদের, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একাধিক নারীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন পরমব্রত। পরে বিদেশিনী চিকিৎসক ইকার সঙ্গে লম্বা সময় সম্পর্কে ছিলেন, একটা সময় তাদের বিয়ের কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
পিয়া চক্রবর্তী পেশায় একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী ও সমাজকর্মী। শখের বশে গানও করেন তিনি। 'তোমার অসীমে', 'কপালের ভাঁজে', 'জীবন-মরণের সীমানা ছাড়ায়ে', 'জলছবি', 'সকাল এক জাহাজভরা'সহ বেশ কয়েকটি গানে পাওয়া গেছে পিয়াকে। কলকাতার সংগীত শিক্ষাকেন্দ্র দক্ষিণি থেকে গানের তালিম নিয়েছেন পিয়া। তবে গানকে পেশা হিসেবে নেননি তিনি; কাজের অবসরে গান করেছেন।
Comments