ঢাকাসহ ৪ জেলায় ৭ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান কারফিউ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিথিল করে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে কারফিউ থাকবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চার দিনের সাধারণ ছুটির পর বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দিনাজপুরে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামে কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

তবে, কারফিউ চলাকালে দেশের সব আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নির্দেশনা দিয়েছেন। কারফিউ শিথিল হলে আদালত আবার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করবে।

গতকাল এ সংক্রান্ত নির্দেশনাসহ তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

কারফিউ চলাকালীনও আদালতের অফিস ও বিভাগ যথারীতি খোলা থাকবে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আবদুল আজিজ ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সরকার যদি কোনো সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, তাহলে সেই নির্দিষ্ট দিনে আদালত বন্ধ থাকবে।

এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেলা জজ, জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের আদালত ও অফিসের সময় নির্ধারণ করবেন।

তারা বিচারক, কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সময় সম্পর্কে অবহিত করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গতকাল কারফিউ চলাকালীন আটটি কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতার মধ্যে গত শুক্রবার রাতে সেনা মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে সরকার। রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। এর মধ্যে প্রথম দুইদিন দুই ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল রাখা হয়। তবে মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা কারফিউ শিথিল দেওয়া হয়।