এবার রাঙ্গামাটিতে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, বাড়িঘরে আগুন, পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা

সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
এবার রাঙ্গামাটিতে দুপক্ষের সংঘর্ষের পর বাড়িঘরে আগুন, পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা
আজ শুক্রবার রাঙ্গামাটি পৌরসভার বিজন সরণি এলাকায় ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয় | ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির পর এবার পাশের জেলা রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ শুক্রবার দুপুর ১টায় পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বনরূপা এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় হামলার প্রতিবাদে এদিন শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ি বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বনরূপা এলাকায় স্থানীয় বাঙালিরা তাদের বাধা দেন। এরপরই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈকত আকবর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত অবস্থায় ৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।নিহতের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এই ঘটনা পর থেকে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট।

সংঘর্ষের পরে শহরের পাহাড়িদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা কালিন্দপুর, বিজন সরণি, দেওয়ানপাড়া, ত্রিদ্বীপ নগর এলাকায় অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া বনরূপা কাঠাতলীতে মৈত্রী বিহারে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। বিহার পরিচালনা কমিটি সদস্য ত্রিতিময় চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'বিহার ভাঙচুর করার পাশাপাশি তারা দান বাক্স লুট করেছে।'

যোগাযোগ করা হলে রাঙ্গামাটির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।'

তিনি বলেন, যেহেতু রাঙ্গামাটির পৌর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে এবং জনগণের জানমালের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই কারণে আজ দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়ার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।

এই আদেশ না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Gaza still bleeding

Death toll nears 42,000; rallies worldwide calls for ceasefire

2h ago