বিজয়ী স্বতন্ত্র ও পরাজিত নৌকা প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অবস্থান, মহাসড়ক অবরোধ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডেকেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজাহেরুল ইসলাম তালুকদার।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে এই পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
দুপুর ২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে উভয় পক্ষ। দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কয়েকজন।
জানা যায়, প্রথমে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী তার আটক কর্মীদের মুক্তির দাবিতে কালিহাতী থানার সামনে জড়ো হয়। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তিনি দলবল নিয়ে থানার সামনে রাস্তার ওপর বসে পড়েন।
এসময় ব্যস্ত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোজাহেরুল ইসলাম তালুকদার তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে থানার সামনে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশের অনুরোধে মোজাহেরুল ইসলাম তালুকদার তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সেখান থেকে কিছুটা দুরে সরে গেলেও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাস্তার অবরোধ করে বসে ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে পুলিশ উভয় পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেয়।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন।
দু'পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে অবরুদ্ধ মহাসড়কের দু'পাশে কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়ে।
পরে ৩টা ১৫ মিনিটে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী।
থানায় পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন কাদের সিদ্দিকী। আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সহিংসতার অভিযোগে গতকাল রাতে লতিফ সিদ্দিকীর ছয় সমর্থককে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে চার জনকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি দেবে পুলিশ। মামলায় নাম থাকা অন্য দুজনকে আজকের মধ্যে জামিনের জন্য আদালতে তোলা হবে। এমন আশ্বাসে লতিফ সিদ্দিকী ও তার সমর্থকরা অবস্থান থেকে সরে গেছেন।
জানতে চাইলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরফুদ্দিন জানান, এজাহারে যে দুজনের নাম আছে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে কিন্তু এজাহারে নাম নেই তাদের ছাড়া যাবে কি না সেটি পুলিশ যাচাই করে দেখছে।
Comments