এই রায় ফরমায়েশি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রসূত: মির্জা ফখরুল

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ (২৯ অক্টোবর) সাত বছরের জেল দিয়েছেন আদালত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না খালেদা জিয়া।
খালেদার অনুপস্থিতিতেই রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় দেন।
খালেদা জিয়াকে দেওয়া এই সাজার প্রতিক্রিয়ায় দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এটি হচ্ছে ফরমায়েশি রায়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই এই রায় দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। এই রায় তার অনুপস্থিতিতে দেওয়া হয়েছে, যেটি আইনানুগ নয়। বরং আইনবিরোধী। কারণ আইনে আছে যে, আসামি পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় তাকে আদালতে উপস্থিত না করে তো কোনো রায় দেওয়া যায় না। তাকে অবশ্যই আদালতে উপস্থিত করে তার সামনে রায় পড়তে শোনাতে হবে।”
“যেহেতু খালেদা জিয়া অসুস্থ আছেন, তাই তিনি আদালতে যেতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তার সুস্থতা পর্যন্ত আদালত অপেক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু আদালত তা না করেই রায় দিয়েছেন,” অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “এই ফরমায়েশি এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রসূত রায়কে আমরা ক্ষুব্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। রায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আগামীকাল (৩০ অক্টোবর) সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হবে।”
অপরদিকে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেন, “আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এর দ্বারা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আরেকটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হলো। কারণ অতীতে প্রভাবশালী বা রাজনৈতিক ব্যক্তি হলে তাদের বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগগুলি বিচারের চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত গড়াতো না। এই ক্ষেত্রে নতুন ধারা সৃষ্টি হলো যে, অপরাধ যিনিই করবেন, তিনি রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী হন বা প্রভাবশালী ব্যক্তি হন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে না।”
Comments