আক্রমণ করেই খেলতে চায় বাংলাদেশ

টেস্টে নেমেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উচ্চবিলসি শট খেলতে পছন্দ করেন। পরিস্থিতি যাই হোক আক্রমণাত্মক শট খেলতে কোন দ্বিধা থাকে না তাদের হরহামেশা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতলেও সাকিব আল হাসানদের আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে উইকেট খোয়াতে দেখা গেছে অনেকবার। তবু মিরপুর টেস্টের আগে অধিনায়ক বললেন, টেস্ট হোক বা টি-টোয়েন্টি এই চিরায়ত স্বাভাবিক অ্যাপ্রোচে বদল আনার পক্ষে নন তারা।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ব্যাট করতে নেমেই বড় শট খেলে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সাকিব। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিতে পারেনি বড় লক্ষ্য। ম্যাচ জিতলেও ক্ষত হয়ে আছে ব্যাটসম্যানদের এরকম আত্মাহুতি।
সিরিজে এগিয়ে থেকে মিরপুর টেস্টে শুরুর আগে অধিনায়ক জানালেন ফরম্যাট যাইহোক, কারো স্বাভাবিক খেলায় বদল আনার পক্ষে নন তিনি, ‘আমি সবসময় অনুভব করি যার খেলার ধরন যেটা সেটা থেকে বের না হতে। আনলেস খুবই প্রয়োজনীয়তা আসে দলের জন্য। আমি মনে করি যে কারো কোন ন্যাচারাল গেইম প্ল্যান, সেটা যেন বদল না করে। আমি সবসময় সেটা প্রেফার করি। ’
‘বীরেন্দ্র শেহবাগ টেস্ট ম্যাচে যদি প্রথম বলে যদি চার মারার সুযোগ পায় তাহলে সেটাও চার মারতো, সেটা টি-টুয়েন্টিতেও একই, ওয়ানডেতেও একই ছিল। আমার কাছে মনে হয় এই অ্যাপ্রচটা থাকা খুবই জরুরী। যেই ব্যাটসম্যানটা টি-টুয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে ম্যাচে প্রথম বলে চার মারার জন্য দাঁড়ায়, সেই ব্যাটসম্যানকে আমি কখনই চাইব না টেস্ট ম্যাচে ফার্স্ট বল ডিফেন্ড করুক কিংবা ছেড়ে দিবে। আমি চাইবো ফার্স্ট বলে ঐরকম মাইন্ড সেট নিয়েই যাক যে সে বল পেলে চার মেরে দিবে।’
যে মেরে খেলতে পারে সে মারবে, যার ধরে খেলার টেম্পারমেন্ট আছে সে তার কাজ করবে। দল থেকে কোন কিছু ঠিক করে কারো দক্ষতায় বাধ সাধার পক্ষে নন সাকিব, ‘সবাই সবার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলাই আমার কাছে মনে হয় জরুরী। কারো কাছ থেকে কিন্তু টিম আউট অফ দ্য বক্স, ন্যাচারের বাইরে গিয়ে খেলার কথা বলে না। যেটা করে সে সাফসেসফুল হয়েছে সেটার জন্যই তাঁকে সিলেক্ট করা হয়। ওর থেকে বাইরে কারো কিছু করার দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না। ’
Comments