৬ আসন বৃত্তান্ত

রিটার্নিং কর্মকর্তারা ছয়টি আসনে বিএনপির সব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিলেও, এর মধ্যে তিনটি আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যদলের প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বিএনপির প্রার্থীশূন্য আসনগুলো হলো- বগুড়া-৭, জামালপুর-৪, রংপুর-৫, মানিকগঞ্জ-২, ঢাকা-১ ও শরীয়তপুর-১। তবে বগুড়া-৭, জামালপুর-৪ ও রংপুর-৫ আসনগুলোতে জোটের অন্যদলের প্রার্থীরা টিকে গেছেন।
জামালপুর-৪ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল গণফোরামের প্রার্থী রবিউল ইসলাম তরফদারের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। আসনটিতে বিএনপি প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম তালুকদারের মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি (শামীম) উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগের কোনো চিঠি দাখিল করেননি।
এছাড়াও, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের আরও দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে। তবে এখানেও ঐক্যফ্রন্টের আরেক শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) প্রার্থী রেজাউল মোর্শেদের মনোনয়ন বৈধ বলে গণ্য করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
রংপুর-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মমতাজ হোসেন ও সোলায়মান আলম ফকির উভয়ের মনোনয়ন বাতিল হলেও, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের অপর শরিক নাগরিক ঐক্যের মোফাখখারুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।
অপরদিকে, ঢাকা-১, মানিকগঞ্জ-২ ও শরীয়তপুর-১ এই তিনটি আসনে জোটের অন্য দলগুলোরও কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপি নেতাদের আশা, আপিলের পর এই আসনগুলোতে তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধতা পাবে। ফলে নির্বাচন কমিশনের কাছে দলীয় প্রার্থীদের আপিল করতে বলেছে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর না মেলার কারণে মানিকগঞ্জ-২ আসনে দলটির দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেছে। ওই আসনে দুইজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে গত রোববার বিএনপির পক্ষ থেকে অবহিত করা হয় বলেও জানান দলটির নেতারা।
ঢাকা-১, বগুড়া-৭ ও জামালপুর-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই প্রার্থীদের কেউই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু, এদের প্রত্যেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্রের কাগজ-পত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছেন বলে জানান।
শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী নাসির উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৮১৫ টাকা টেলিফোন বিল পরিশোধ করেননি। বিষয়টি অস্বীকার করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে গত ২ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের জানান তিনি।
Comments