শিক্ষকরা কোচিং ব্যবসা করতে পারবেন না: হাইকোর্ট
সরকারি বা বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে ২০১২ সালে যে নীতিমালা জারি করেছিল সরকার আজ সেই নীতিমালাকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত পাঁচটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
এ ব্যাপারে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই রায়ের ফলে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা করেন এমন কেউ কোচিং সেন্টারে গিয়ে ক্লাস নিতে পারবেন না।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
কোচিং সেন্টার থেকে শিক্ষকদের দূরে রাখতে ২০১২ সালে একটি নীতিমালা জারি করেছিল সরকার। সে বছর জুনের ২০ তারিখে জারি করা ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’য় বলা হয়েছিল, একজন শিক্ষক অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ জনের বেশি ছাত্রকে এক দিনে পড়াতে পারবেন না। তবে এর জন্যও ওই শিক্ষককে তার নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে যে স্কুলের ছাত্র পড়বে তার প্রধানকে বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে।
এই নীতিমালায় স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
সরকারের জারি করা এই নীতিমালার বিরুদ্ধে তিনটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। সবগুলোর শুনানি শেষে শিক্ষকদের কোচিং ক্লাস থেকে বিরত থাকার রায় দিলেন আদালত।
Comments