শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ
ইন্দোরের হল্কার স্টেডিয়ামের উইকেটে আছে ঘাসের ছোঁয়া, এখানে পেসাররা পেতে পারেন সুবিধা- এমন আভাস ছিল। সেটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে প্রথম দিনের খেলার শুরুতেই। দেখেশুনে সতর্কভাবে ব্যাটিং শুরু করলেও ভারতীয় পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। চারে নেমে মোহাম্মদ মিঠুনও থিতু হতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের সপ্তম ওভারের মধ্যে দলীয় ১২ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান মিঠুন। ভারতীয়দের নেওয়া ব্যর্থ রিভিউয়ে একবার জীবন পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি।
উমেশ যাদবের সুইংয়ের পসরার সামনে শুরু থেকে নড়বড়ে দেখাচ্ছিল ইমরুলকে। তার শেষটাও হয়েছে উমেশের ডেলিভারিতেই। ষষ্ঠ ওভারে একটু লাফিয়ে ওঠা বল বাঁহাতি ইমরুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে তৃতীয় স্লিপে পৌঁছায় আজিঙ্কা রাহানের নির্ভরযোগ্য তালুতে। ১৮ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
সঙ্গী হারিয়ে সাদমানও থিতু হতে পারেননি। এই বাঁহাতি উইকেট বিসর্জন দেন আলগা শট খেলে। জায়গায় দাঁড়িয়ে ইশান্ত শর্মার ডেলিভারি ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ২৪ বল খেলা সাদমানেরও সংগ্রহ ৬ রান।
৬ বলের ব্যবধানে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এরপর এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন মুমিনুল ও মিঠুন। ৬৬ বলে ১৯ রানের এই জুটি ভাঙে মিঠুনের বিদায়ে। মোহাম্মদ শামির লেট সুইং হওয়া ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ১২ রান।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়, বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৩ রান। উইকেটে আছেন মুমিনুল ৩৮ বলে ৬ ও মুশফিকুর রহিম ৪ বলে ০ রানে।
Comments