আবারো বিদ্যুৎ বিভ্রাট জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যকার ম্যাচটি চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু হঠাৎই মাঠে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। মাঠের ফ্ল্যাডলাইটের আলোর প্রবাহ কমে যায়। ফলে প্রায় ১৩ মিনিটের মতো বন্ধ থাকে খেলা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিপিএলেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছিল।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৮ মিনিট থেকে খেলা বন্ধ থাকে। এরপর ৮টা ৫১ মিনিটের দিকে ফের শুরু হয় খেলা। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ ব্যাখ্যা করে স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডস ম্যানেজার আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, 'বাইরে ইন্টারফেসে একটা ফ্র্যাকচার হয়েছে হঠাৎ করে। এসব কারণে ফ্ল্যাডলাইটটা বন্ধ হয়ে আবার শুরু হয়। এটা আসলে বাসার লাইটের মতো না। একটি সেনসিটিভ তো। তাই ধরতে পারে না।'
তবে এমন ঘটনা নতুন নয় বন্দর নগরীর এ স্টেডিয়ামে। বারবারই এমন ঘটনার কারণ জানতে চাইলে বাতেন বলেন, 'এটা আসলে সঞ্চালন লাইনের সমস্যার কারণে হয়। মাঝে মাঝে পাখি বসে বা অন্য কোন কারণে এমনটা আরও হয়েছে। আমরা এ নিয়ে ডেসকোর সঙ্গে কয়েকবারই কথা বলেছি যে কীভাবে কি করা যায়। দেখছি কীভাবে সমাধানে আসা যায়।'
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিপিএলের গত আসরে রাজশাহী কিংস ও সিলেট সিক্সার্সের মধ্যকার খেলায় বিদ্যুৎই ছিল না পৌনে এক ঘণ্টার মতো। তাতে বন্ধ ছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিন। বন্ধ ছিল ইলেকট্রনিক্স বিলবোর্ডও। তবে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে হওয়ায় লম্বা সময় বিদ্যুৎ না থাকলেও বড় কেলেঙ্কারি থেকে বেঁচে যায় সেবার।
এর আগে ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যাচে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হওয়ায় ম্যাচ বন্ধ ছিল প্রায় ৮ মিনিট। সেবার ৬টা ১৮ মিনিটে প্রথমে একটি ফ্লাডলাইট নিভে যায়। এরপর আস্তে আস্তে বাকি ফ্লাডলাইটগুলোও নিভে যায়। ৬টা ২৬ মিনিটে ধীরে ধীরে জ্বলে উঠে। ফলে আট মিনিট খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
একই বছর যুব বিশ্বকাপেও একই ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে দুইবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। দ্বিতীয় দফায় প্রায় বিশ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ সালেও। সেবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকাল ৪টা ৪৩ মিনিটে প্রথম দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটার পর প্রায় বিশ মিনিট পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৫টা ১৬ মিনিটে আবারও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে।
Comments