শাইনপুকুরের কাছে হেরে গেল মোহামেডান

দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যান রান পেলেন ঠিকই। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না কেউ। ফলে লড়াইয়ের পুঁজিটা ছিল মাঝারী। এরপর বল হাতে বোলাররাও ছিলেন নির্বিষ। ফলে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভালো হলো না ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরে গেছে দলটি।

দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যান রান পেলেন ঠিকই। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না কেউ। ফলে লড়াইয়ের পুঁজিটা ছিল মাঝারী। এরপর বল হাতে বোলাররাও ছিলেন নির্বিষ। ফলে বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভালো হলো না ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরে গেছে দলটি।

মোহামেডানের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করে শাইনপুকুর। প্রথম চারটি জুটিই ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব। দুই ওপেনার সাব্বির হোসেন ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতে আসে ৫৩ রান। এরপর সাব্বির আউট হলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে তামিমের ৫২ রানের জুটি। তৃতীয় উইকেটে রবিউলের সঙ্গে তৌহিদ হৃদয়ের জুটিতে আসে ৫৫ রান। তবে সবচেয়ে বড় জুটিটি চতুর্থ উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে গড়েন মাহিদুল ইসলাম অংকন। স্কোর বোর্ডে ৭৬ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় শাইনপুকুর।

এরপর দ্রুত দুইটি উইকেট ফেলতে পারলেও লাভ হয়নি মোহামেডানের। রবিউল হককে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন সাজ্জাদুল হক শিপন। ৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি।

দলের তিন ব্যাটসম্যান পেয়েছেন ফিফটি। ফিফটি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেমেছেন এক ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে। এছাড়া রবিউল হক ৫৪, হৃদয় ৫০ ও অংকন ৪৯ রান করেন। 

এর আগে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে মোহামেডান। দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র ও আব্দুল মজিদের ব্যাটে শুরুটাও ভালো হয় তাদের। ওপেনিং জুটিতে আসে ৬১ রান। এরপর অভিষেক আউট হয়ে গেলে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটেও ভাল জুটি গড়েন মজিদ। এ জুটিতে আসে ৫৩ রান।

তবে এক প্রান্তে বেশ ধীর গতিতে ব্যাট চালিয়েছেন মজিদ। যার জের দিতে হয়েছে তাদের। তার উপর জুটি ভাঙতেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে ১৮১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শু-ভাগত হোমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান লিমন। স্কোর বোর্ডে ৬৬ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতেই লড়াই করার পুঁজি পায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন লিমন। এছাড়া শুক্কুর ৪৬ ও মজিদ ৪২ রান করেন। শেষ দিকে ২৫ বলে কার্যকরী ৩১ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত। শাইনপুকুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম ও মোহর শেখ অন্তর।

Comments

The Daily Star  | English
Gazipur factory fire September 2024

Column by Mahfuz Anam: Business community's voice needed in the interim government

It is necessary for keeping the wheels of growth running and attracting foreign investment in the new Bangladesh.

6h ago