প্রতিদানে বাংলাদেশে পিপিই পাঠাচ্ছে বেইজিংয়ের হাসপাতাল
চীনে ব্যাপক আকারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সময় হাসপাতালগুলোর জরুরি পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন একজন বাংলাদেশি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। গত মাসে চীনের ফুওয়াই হাসপাতালে এক হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক পাঠিয়েছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক এমজি আজম।
বাংলাদেশে সংকটের মুহূর্তে এখন প্রতিদান হিসেবে তিনটি সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পাঠাচ্ছেন বেইজিংয়ের ফুওয়াই হাসপাতালের বাংলাদেশি চিকিৎসক মিসবাউল ফেরদৌস। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে খানিকটা সময় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি জানান, ১০০ টি সুরক্ষা স্যুট, ১০০টি চশমা, ৪৫০টি ফেস-শিল্ড, চার হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক ও ৬০০ এন-৯৪ (কোরিয়া) মাস্ক বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে এগুলো ঢাকায় পৌঁছাবে।
করোনার চিকিৎসার প্রথম সারির তিনটি সংগঠন এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও ফুওয়াই হাসপাতালের অধ্যাপক ইয়োংজিয়ান উ, চীনা কার্ডিওলজি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক জুনবো জি ও সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইয়ং হু এবং কার্ডিওলজি এশিয়ান সোসাইটির কর্মকর্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জরুরি মেডিকেল সামগ্রীগুলো ঢাকা পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একদল তরুণ চিকিৎসকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছেন। ওই চিকিৎসকদের মাধ্যমেই মেডিকেল সরঞ্জামগুলো বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুরুতে বড় বড় হাসপাতাল যেমন, বারডেম, ঢামেক ও বিএসএমএমইউতে এগুলো বিতরণ করা হবে। এছাড়াও ঝুঁকিতে থাকা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও এয়ারপোর্টের কর্মকর্তাদের বিতরণ করা হবে।’
পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে জেলা শহরগুলোতেও পিপিই ও অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জাম বিতরণের পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে মিসবাউল বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা পেলে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখবেন।’
Comments