৩ বছরে শেষ হয়নি বেড়িবাঁধের কাজ, আনোয়ারায় প্লাবিত হলো ৪ গ্রাম

ঠিকাদার যথাসময়ে বাঁধের কাজ শেষ না করায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চার গ্রামের হাজারো মানুষ। গতরাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে রায়পুর ইউনিয়নের ধলঘাট, গহিরা, ঘাটকুল ও বার আউলিয়া ও রায়পুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে ভেসে গেছে।
বারআউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হারুন দ্য ডেইলি স্টারকে ফোনে বলেন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ভয় ছিল না, তবে বাঁধ নিয়ে ছিল। কারণ, আমাদের গ্রাম সংলগ্ন দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হয়নি। সেই ভয় শেষ পর্যন্ত সত্য হলো। রাতে পানি উঠতে শুরু করায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়েছে।
রাতে তাৎক্ষণিকভাবে এক শ পরিবারকে সাইক্লোন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে বলে জানান আনোয়ারারে উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ জুবায়ের আহমদ।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফেলতিতে বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। সময় মতো বারআউলিয়া গ্রামের দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করতে পারলে পানি ঢুকত না।’
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, ‘১৩১০ মিটার বেড়িবাঁধের কাজ গত তিন বছরে শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। যেটুকু করেছে সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। এই বাঁধ কখনো সমুদ্রের শক্তিশালী ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে পারবে না।’
তার অভিযোগ, ব্লক দিয়ে সড়ক থেকে আট ফুট উঁচু বেড়িবাঁধ করার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে মাত্র দুই ফুটের ব্লক।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সার্কেলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জলোচ্ছ্বাসে নতুন করে বাঁধের কোনো অংশের ক্ষতি হয়নি। বারআউলিয়া দিয়ে পানি ঢুকেছে কারণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কাজ শেষ করা যায়নি।
তিনি বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার ওই বাঁধের কাজের জন্য ২০১৬ সালে একনেকে ৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন নয়। তারপর আমরা টেন্ডার শেষে কাজে নামি। পরে প্রকল্পের নকশা ও অ্যালাইনমেন্টে পরিবর্তন এনে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় কাজ শেষ করা যায়নি।’
তবে তার আশা খুব শিগগির কাজ শেষ হবে।
Comments