উদ্বেগ ও আতঙ্কে ভুগছে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী: ব্র্যাকের গবেষণা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায়, উদ্বেগ ও আতঙ্কে ভুগছে অন্তত ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ অবস্থায়, উদ্বেগ ও আতঙ্কে ভুগছে অন্তত ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক পরিচালিত সম্প্রতি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ওপর কোভিড-১৯-এর প্রভাব বিষয়ে জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। দেশের আট বিভাগের ১৬টি জেলায় মে মাসের ৪ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের এক হাজার ৯৩৮ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই জরিপটি চালানো হয়। আজ শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির এই সময়টাতে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী উদ্বেগ ও আতঙ্কে ভুগছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এর হার অন্তত ২৯ শতাংশ। উদ্বেগ ও আতঙ্কে থাকা শিক্ষার্থীরা অনেকটা চুপচাপ হয়ে যায়, মেজাজ খারাপ করে, পড়াশোনা বা খেলাধুলা কিছুই করে না কিংবা বাইরের কাউকে দেখলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার মতো বিষয় উঠে এসেছে জরিপে।

জরিপের ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ালেখার ব্যাপারে নির্দেশনা না পাওয়ার বিষয়ে জানিয়েছে ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি বলে বলে জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৫৪ শতাংশ স্কুল খোলার পর বাড়তি ক্লাস করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন, নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং এর মধ্যে মানসিক নিপীড়ন ৮২ শতাংশ। তবে শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন, ঘরে বদ্ধ করে রাখা বা জোর করে কাজ করানোর মতো বিষয় উঠে এসেছে ব্র্যাকের জরিপে।

করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিধি মেনে চলার কথা থাকলেও ৯০ শতাংশ তা মেনে চলছেন বলে জরিপের প্রতিবেদনে দেখা যায়। তাছাড়া, জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের মধ্যেও বাইরে চলাফেরা করছে।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে, দ্রুত এই কার্যক্রমকে শক্তিশালী করে তোলা প্রয়োজন বলে জরিপের প্রতিবেদনে মত প্রকাশ করা হয়।

এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শাফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Dengue deaths in Bangladesh 2024

4 more die of dengue

660 patients were also hospitalised during this time

13m ago