‘খাবার খরচ ২০ কোটি টাকা’ তথ্যটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: ঢামেক পরিচালক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এক মাসে চিকিৎসকদের খাবার খরচ ২০ কোটি টাকা, তথ্যটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু চিকিৎসকদের খাবার খরচ নয়, এখানে চিকিৎসকসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াতসহ সব খরচ দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে ঢামেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু চিকিৎসক নয়, নার্সসহ হাসপাতালের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়া-পরিবহনসহ সব খরচ দেখানো হয়েছে। ২ মে থেকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সসহ কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য কিছু আবাসিক হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়।’
পরিচালক বলেন, ‘জুনের প্রথম দিকে হোটেল বাজেট দিয়েছিলাম ২০ কোটি টাকা। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে এক কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। আমরাও পেয়েছিলাম। সেই টাকা দিয়ে পরিবহন ও হোটেলে কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত থাকা-খাওয়ার জন্য ৩০টি হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়েছে এবং একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফ্ফর হোসেন, সদস্য সচিব উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সদস্য ডা. আশরাফুন নাহার। উনারা হোটেলে যাতায়াতসহ খাওয়ার তদারকি করেন এবং প্রতিটি হোটেলের সঙ্গে আমাদের চুক্তিপত্র আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক অধ্যাপক ডা. বিল্লাল আলম বলেন, ‘শুধু চিকিৎসকদের খাওয়ার জন্য ২০ কোটি টাকা। আমারা এমন ডাক্তার যে- একটি কলা এক হাজার টাকা দিয়ে কিনে খাব এসব কথা যেখানে বলা হয়েছে, আমার মনে হয়ে এর কোনো ভিত্তি নেই। এতে চিকিৎসক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অবশ্যই এর তদন্ত হওয়া দরকার।’
ডা. বিল্লাল আলম আরও বলেন, ‘যদি স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি হয়ে থাকে অবশ্যই তদন্ত করা উচিত। আমরা তো ইচ্ছে করে হোটেলে থাকতে চাই না। যদি হোম আইসোলেশন বা হাসপাতালে থাকার সুযোগ থাকত তাহলে তাই করতাম।’
এসময় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ ও সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুন নাহারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
Comments