'লিভারপুলের মেসি-নেইমারদের প্রয়োজন নেই'

ছবি: এএফপি

৩০ বছরের অপেক্ষা করার পর ফের ইংলিশ লিগ শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। এখন চ্যালেঞ্জ এ শিরোপা ধরে রাখার। এরজন্য বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড়ের পেছনে ছুটছে দলটি। এরমধ্যেই টিমো ভের্নারকে হাতছাড়া করেছে তারা। রাডারে থাকা কালিদু কোলিবালিকেও হারানোর পথে। তবে প্রিমিয়ার লিগের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বর্তমান দলটিতে নতুন কোনো খেলোয়াড়ের প্রয়োজন দেখছেন না ক্লাবটির সাবেক তারকা জোন বার্নস। এমনকি মেসি-নেইমারদের মতো খেলোয়াড়ও না।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে আর্থিক ঘটতিতে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব ক্লাবই। লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের ঘাটতি কম নয়। যে কারণে বড় ধরণের ট্রান্সফারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দলটি। দুদিন আগেই ক্লাব ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ জানিয়েছেন এ কথা। কিন্তু আগামী মৌসুমে শিরোপা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো আটঘাট বেঁধেই নেমেছে। দারুণ কিছু সাইনিং এর মধ্যেই করেছে চেলসি। ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবও ভালো কিছু খেলোয়াড়দের প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে।

তবে বড় সাইনিং ছাড়াই লিভারপুল ভালো করবে বিশ্বাস করেন বার্নস। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাবেক অলরেড তারকা বলেন, 'লিভারপুল কাউকে কেনার জন্য ব্যাংক ভাঙবে না। ক্লাবে যে ধরণের খেলোয়াড় আছে তাতে নেইমার কিংবা মেসিদের প্রয়োজন নেই। তাদের কিন্তু হয়তো ব্যাংক ভাঙতে হতো। তারা সামর্থ্যের মধ্যেই খেলোয়াড় পেয়ে যাবে। অনেক টাকা খরচ করতে হবে না।'

২০১৮ সালে ভার্জিল ভ্যান ডাইক ও অ্যালিসন বেকারকে কিনতে ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে লিভারপুল। এর পর বড় কোনো সাইনিং করায়নি দলটি। সবশেষ তাকুমি মিনামিনোকে সোয়া ৭ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে কিনেছে তারা। তবে কোলিবালিকে কিনতে এখনও চেষ্টা করছে দলটি। যদিও তাকে পাওয়ার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

তবে বাড়তি খরচ করে কোলিবালিকেও কিনার পক্ষে নন বার্নস, 'যদি ম্যানচেস্টার সিটি কোলিবালিকে দ্বিগুণ বেতনের প্রস্তাব দেয়, তাহলে সে সিটিতে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন এবং এটা অনেক কিছু বোঝায়। লিভারপুল সবসময় খেলোয়াড়দের গড়ে তোলায় বিশ্বাসী। বড় ক্লাব হলেই আপনি অনেক খেলোয়াড় পাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং এটা ভালো যখন আপনি শীর্ষে থাকবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

5h ago