পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেল রাজবাড়ীর গোদার বাজার বিনোদন কেন্দ্র

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় পদ্মার ভাঙনে গোদার বাজার বিনোদন কেন্দ্র বিলীন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তীব্র হয় পদ্মার ভাঙন। এক রাতে পুরো বিনোদন কেন্দ্র পদ্মার ভাঙনে চলে যায়।
Rajbari_Godarbazar3_29Sep20.jpg
এক রাতে রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোদার বাজার বিনোদন কেন্দ্রের প্রায় তিন শতাংশ জমি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ছবি: নেহাল আহমেদ

রাজবাড়ী সদর উপজেলায় পদ্মার ভাঙনে গোদার বাজার বিনোদন কেন্দ্র বিলীন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তীব্র হয় পদ্মার ভাঙন। এক রাতে পুরো বিনোদন কেন্দ্র পদ্মার ভাঙনে চলে যায়।

রাজবাড়ীর কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী নেহাল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গোদার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলেছিল। পদ্মা নদীর পাড়ে এই বিনোদন কেন্দ্রটি খুবই জনপ্রিয় ছিল। গত রাতে ভাঙনে প্রায় তিন শতাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন তীব্র হওয়ায় নদী পাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।’

অ্যাডভোকেট নাজমা সুলতানা বলেন, ‘প্রশাসন সেভাবে ব্যবস্থা নিলে বিনোদন কেন্দ্রটি ভেঙে যেতো না। নদী ভাঙন অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। চাইলে এই ভাঙন ঠেকানো সম্ভব ছিল।’

Rajbari_Godarbazar2_29Sep20.jpg
ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ছবি: নেহাল আহমেদ

নেহাল আহমেদ আরও বলেন, ‘প্রতি বছরই সনাতন পদ্ধতিতে নদীতে বালুর বস্তা ফেলা হয়। যে পদ্ধতিতে ফেলা হয় তা কতটা বিজ্ঞানসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ আমরা দেখছি, বছর বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীতে বালুর ব্যাগ ফেলে কিন্তু ভাঙন বন্ধ হয় না।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলশাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই বিনোদন কেন্দ্রটি ভাঙনের কবলে পড়ছে। গত রাতে অবশিষ্ট অংশটুকু বিলীন হয়ে গেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।’

Rajbari_Godarbazar_29Sep20.jpg
গোদার বাজার বিনোদন কেন্দ্রের পুরনো ছবি। ছবি: নেহাল আহমেদ

রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এখানে শহর রক্ষা প্রকল্প দ্বিতীয় ধাপের কাজ চলছে। এর মধ্যে গতকাল ভাঙন হয়েছে মূলত রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে। খবর পাওয়ার পরেই আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। সকালে জেলা প্রশাসক নিজে এসেছিলেন। তারপর একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠিয়েছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার পর্যন্ত ১২ শ থেকে ১৩ শ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এখন ভাঙন পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল। আমাদের স্টোরে যে পরিমাণ ব্যাগ আছে, আশা করছি তা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

219 garment factories closed in Ashulia amid labour unrest

There was no report of any attack or vandalism in any factory, or any road blockade anywhere in the area.

20m ago