নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিক হত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে হত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন। এতে গ্রেপ্তার তিনজনসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- গ্রেপ্তারকৃত তুষার (২৮), মিন্নাত আলী (৬০) ও মিসির আলী (৫৩)। পলাতক হাসনাত আহমেদ তুর্জয় (২৪), মাসুদ (৩৬), সাগর (২৬), পাভেল (২৫) ও হযরত আলী (৫০)।
পুলিশের দাবি, প্রভাব বিস্তারে বাধা দেয়া, অবৈধ গ্যাস সংযোগের তথ্য গণমাধ্যমে দেওয়াসহ পূর্বের বিরোধের জমা ক্ষোভ থেকে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে হত্যা করা হয়।
আজ ভোরে বন্দর উপজেলার জিওধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিন্নাত আলী ও মিসির আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বন্দর মডেল থানার পরিদর্শক আজগর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সাংবাদিকের স্ত্রী বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুষার জানিয়েছে সে একাই সাংবাদিক ইলিয়াসকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। অন্য আসামিরা বলছেন তারা হত্যা করেননি। এলাকায় প্রভাব বিস্তারে বাধা দেওয়া, অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার তথ্য গণমাধ্যমে দেওয়া ও পূর্বের বিরোধের জমা ক্ষোভ থেকে সাংবাদিক ইলিয়াসকে হত্যা করে তুষার। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তখন বিস্তারিত জানানো হবে।’
এলাকাবাসীর দাবি তুষার একজন মাদক চোরাকারবারি। এ প্রসঙ্গে আজগর হোসেন বলেন, ‘মাদক বিক্রি করে এটা আমরাও শুনেছি। তবে, তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মাদক বিক্রির অভিযোগ কিংবা মামলা নেই। একটি মারামারির মামলা আছে। তারপরও আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখছি।’
গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে আদমপুর এলাকায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সাংবাদিক ইলিয়াসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তুষারকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইলিয়াস উপজেলার জিওধরা এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক বিজয় পত্রিকার বন্দর সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:
Comments