ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদ ৩ দিনের রিমান্ডে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা অতিরিক্ত মহানগর মুখ্য হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়।
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশফাক রাজিব হাসান সকাল ১০টায় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ইরফান সেলিমসহ (৩৭) চার জনের নামে এবং দুই-তিন জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইরফান ছাড়া বাকি তিন অভিযুক্ত হলেন— ইরফানের সহযোগী এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), ব্যক্তিগত দেহরক্ষী মো. জাহিদ (৩৫) ও গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান (৩০)।
এজহারে বলা হয়, গত ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে নীলক্ষেত থেকে পাঠ্যবই কিনে লেফটেনেন্ট ওয়াসিফ ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে ঢাকা সেনানিবাসে ফেরার পথে ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে রাস্তায় একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৫৭৩৬) তাদের পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরিচয় দেওয়ার পরও গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তাদের গালিগালাজ করেন ও হত্যার হুমকি দেন।
এরপর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের কাছে সেই গাড়িটিকে থামিয়ে নৌ কর্মকর্তা আবারও পরিচয় দিলে গাড়ির আরোহীরা সবাই নেমে এসে তাকে কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে রাস্তায় ফেলে যান।
মামলার পর ২৬ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানাধীন দেবিদাস ঘাট লেন হাজী সেলিমের পৈত্রিক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফান ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অভিযানে তাদের বাসা থেকে বিদেশি মদ ও অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। পরে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে দেড় বছরের এবং ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে তার দেহরক্ষী জাহিদকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মিজানুর রহমানকে ইতোমধ্যে এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
২৭ অক্টোবর ইরফান সেলিমকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ২ ও ১৩ ধারার অধীনে নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণের বিধানে কাউন্সিলর ইরফানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় এই আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
Comments