বেস-লিচের স্পিনে কুপোকাত, ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ শ্রীলঙ্কা

প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানের লিড পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেই ঘুরে যায় খেলা। ইংল্যান্ডের দুই স্পিনারই নাচিয়ে ছাড়েন স্বাগতিকদের। বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ আর অফ স্পিনার ডম বেস মিলে লঙ্কানদের অল্প রানে আটকে ম্যাচ জিতে নিয়েছে তারা।
গলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। দুই টেস্ট সিরিজ তাই সফরকারীরা জিতল ২-০ ব্যবধানে।
গল টেস্টের চতুর্থ দিনে উইকেট পড়েছে ১৫টি। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৬ রানে শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৩৫.৫ ওভার টিকতে পারে তারা। লঙ্কানদের ধসিয়ে ৪৯ রানে ৪ উইকেট নেন বেস, ৫৯ রানে ৪ উইকেট পান লিচ।
মাত্র ১৬৪ রানের লক্ষ্য পেয়ে পা হড়কায়নি সফরকারীদের। ওপেনার ডম সিবলি আর জস বাটলারের ব্যাটে তীরে তরি ভেড়ায় জো রুটের দল। দলকে জিতিয়ে ৫৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সিবলি, বাটলার করেন ৪৬ রান।
স্পিনারদের জন্য ভীষণ অনুকূল হয়ে পড়া উইকেটে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ১৭ রানে জ্যাক ক্রাউলিকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে সিবলির সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো আনেন ৪৫ রানের জুটি। এই দুজনকেই ফেরান লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলা ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটকে ফেরান রমেশ মেন্ডিস। ড্যান লরেন্সকে দ্রুত ফিরিয়ে ম্যাচে দশম উইকেট নিয়ে খেলা জমিয়ে তুলেছিলেন এম্বুলদেনিয়া। কিন্তু জস বাটলারের সঙ্গে দারুণ এক জুটিতে সকল শঙ্কা দূর করে দেন সিবলি।
আগের দিনের ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে নেমে দ্রুতই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। লিচকে ছেঁটে কাজটা সারেন দিলরুয়ান পেরেরা।
৩৭ রানের লিড পাওয়ায় ম্যাচটা তখন পর্যন্ত মুঠোতেই ছিল লঙ্কানদের। খেলতে নেমেই বদলে যায় পরিস্থিতি। জেমস অ্যান্ডারসন, স্যাম কারানকে দুই ওভার করে করিয়েই স্পিনারদের ডাকেন রুট। উইকেটের অবস্থায় তাতে কাজও হয় দারুণ।
কুশল পেরেরাকে আউট করে প্রথম আঘাত লিচের। বেস তুলে নেন ওসাদা ফার্নেন্দোকে। লাহিরু থিরিমান্নে আর দিনেশ চান্দিমালকেও আউট করেন লিচ। বেসের স্পিনে বোল্ড হয়ে থামেন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
মাত্র ৪৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ওই অবস্থা থেকে আর দাঁড়াতেই পারেনি। ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে প্রতিরোধ না আসায় হুড়মুড় করে ধসে যায় তারা। ৭৮ রানে ৮ উইকেট হারালে একশোর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা। তবে তা হতে দেননি বোলিংয়ে ৭ উইকেট নেওয়া লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। ১০ নম্বরে নেমে ৪২ বলে ৪০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিনি। তাতেও সামান্য একটু লড়াইয়ের পূঁজি মিলেছিল। তবে সিবলি-বাটলার দাঁড়িয়ে যাওয়ায় হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয়ে দিনেশ চান্দিমালের দলকে।
Comments