এক লাফে চারে মিরাজ, শীর্ষ দশে ফিরলেন মোস্তাফিজ
সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আনকোরা ব্যাটিং লাইনআপকে প্রতি ম্যাচেই ধসিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের তছনছ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি মিলল আইসিসির কাছ থেকে। ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে জায়গা করে নিলেন দুজনই।
বুধবার সবশেষ প্রকাশিত আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দেখা যাচ্ছে, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেরা দশে ঢুকেছেন অফ স্পিনার মিরাজ। নয় ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন চার নম্বরে। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং। তার রেটিং পয়েন্ট ৬৯৪। বাংলাদেশ-উইন্ডিজের সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন মিরাজ। ৩ ম্যাচে ১০.২৮ গড়ে ও ২.৭০ ইকোনমিতে তিনি দখল করেন ৭ উইকেট।
৩ ম্যাচে ৯.৮৩ গড়ে ও ২.৯৫ ইকোনমিতে ৬ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ এগিয়েছেন ১১ ধাপ। বাঁহাতি এই পেসার ৬৫৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছেন আট নম্বরে। এটি অবশ্য তার ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং নয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পঞ্চম স্থানে উঠেছিলেন কাটার মাস্টার খ্যাত তারকা।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে নেই কোনো পরিবর্তন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান ও ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ আছেন যথাক্রমে এক, দুই ও তিনে। লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ১৫ ধাপ এগিয়ে দখল করেছেন ত্রয়োদশ স্থান। ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচে ৮.৩৩ গড়ে ও ২.২৫ ইকোনমিতে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে কোনো অদল-বদল ঘটেনি। আগের মতোই শীর্ষস্থানে ভারতীয় দলনেতা বিরাট কোহলি। তার সতীর্থ রোহিত শর্মা আছেন দুইয়ে। তিনে রয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম। এক ধাপ করে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম (১৫তম) ও তামিম ইকবালের (২২তম)। আরেক টাইগার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ পাঁচ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৪৯ নম্বরে।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচেও নেই কোনো পরিবর্তন। সাকিব ধরে রেখেছেন এক নম্বর জায়গাটা। পরের চারটি স্থানে আছেন যথাক্রমে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি, ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস এবং পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম।
Comments